
ছবি: সংগৃহীত
পহেলগাঁও, জম্মু ও কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, যা এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। সাবেক এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা তাত্ক্ষণিক জবাবদিহির দাবি জানিয়ে উরি ও পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের চালানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট বিমান হামলার উদাহরণ টেনেছেন।
রাহা জোর দিয়ে বলেছেন, এই পদক্ষেপগুলি সন্ত্রাসের অপরাধীদের শাস্তি দিতে সফল হয়েছে এবং এখনও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তি প্রদর্শন ও ভবিষ্যৎ হামলা রোধে একই রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর পাকিস্তানি সেনাদের গোলাবর্ষণের জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আরেকটি সংবাদে জানা গেছে, পাকিস্তান ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলির জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক যাত্রাবাহিকে ব্যাহত করছে।
এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো ও স্পাইসজেটের মতো এয়ারলাইন্সগুলি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু ফ্লাইট পুনরায় রুট করছে। এছাড়া এয়ারলাইন্সটি শ্রীনগর থেকে মুম্বাই ও দিল্লির ফ্লাইটের ভাড়া সীমিত রেখেছে এবং ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফেরত বা বিনামূল্যে পুনরায় শিডিউল করার সুযোগ দিচ্ছে। ইন্ডিগো তার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিঘ্নের কথা নিশ্চিত করে যাত্রীদের ফ্লাইটের অবস্থা পরীক্ষা করতে এবং নমনীয় পুনঃবুকিং বিকল্প ব্যবহার করতে বলেছে। স্পাইসজেট শ্রীনগর ও দিল্লির মধ্যে অতিরিক্ত ফ্লাইট যোগ করেছে এবং ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ফ্লাইটের জন্য পুনঃশিডিউল ও বাতিল করার খরচ মওকুফ করেছে।
কাশ্মীরে আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য আকাশপথে ভাড়া আকাশছোঁয়া এবং সীটের সীমিত প্রাপ্যতা এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এই অঞ্চলে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা সৃষ্টি করেছে।
সূত্র: https://economictimes.indiatimes.com/?back=1
আবীর