
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে হঠাৎ ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনে একরের পর একর জমি পুড়ে যাচ্ছে, এবং তীব্র বাতাসে সেই আগুন ধেয়ে আসছে রাজধানী জেরুজালেমের দিকে। অনেকেই বলছেন, গাজায় যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, প্রকৃতি যেন তারই প্রতিশোধ নিচ্ছে।
গাজার দিকে প্রতিদিন বোমা, ক্ষতবিক্ষত জীবন
ইসরাইলের হামলায় প্রতিদিন গাজায় মারা যাচ্ছেন নারী-শিশু সহ সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে এই হামলা থামার কোনো নাম নেই। বহুদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের উপরে চলা এই সহিংসতা আজ চরমে পৌঁছেছে।
প্রকৃতির প্রতিশোধ, নাকি আল্লাহর গজব?
বর্তমানে ইসরাইলে আগুনের যে তাণ্ডব চলছে, সেটিকে অনেকেই সাধারণ আগুন হিসেবে দেখছেন না। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্যায়ের বিচার একদিন হবেই—আর এই আগুন সেই বিচার হতে পারে বলেই ধারণা অনেকের।
ধর্মীয় ভবিষ্যৎবাণী কি সত্যি হচ্ছে?
কোরআন ও হাদিসে বর্ণনা আছে, বনী ইসরাইল বারবার অন্যায় করেছে, নবীদের হত্যা করেছে এবং পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছে। এজন্য তাদেরকে আল্লাহ নানা রকম শাস্তি দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও এ শাস্তি চলতে থাকবে বলে বলা আছে।
হাদিসে বলা আছে, কেয়ামতের আগে এক বিশাল আগুন পূর্ব থেকে পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়বে এবং মানুষকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। এই আগুন হিজাজ অঞ্চলে এমনভাবে ছড়াবে যে, বর্ষার উটগুলোর গলা পর্যন্ত আলোকিত হবে। বর্তমানে ইসরাইলে দাবানলের ভয়াবহতা এই বর্ণনার সাথে মিল রাখে।
ইসরাইলের ইতিহাস কিছুটা বললে...
১৯২০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে ইউরোপ থেকে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে যেতে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তারা সেখানে বসতি গড়তে থাকে এবং পরে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। সেই থেকে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল ও তাদের উপর নির্যাতন চালানো শুরু হয়, যা এখনো চলছে।
একদিন এই অন্যায়ের শেষ হবেই
রাসূল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের আগে ইহুদি জাতি মুসলিমদের হাতে পরাজিত হবে। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে অনেকে মনে করছেন, হয়তো সেই সময়ই ধীরে ধীরে সামনে আসছে।
ইসরাইল হয়তো এখন শক্তিশালী, কিন্তু ইতিহাস বলছে—অন্যায় ও জুলুম চিরকাল টেকে না। নিরীহ মানুষের কান্না একদিন আকাশে পৌঁছায়, আর তখন বিচার হয় পৃথিবীতেই।
এসএফ