
ছবি : সংগৃহীত
কিছুতেই থামছে না এই মায়ের কান্না। ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা সাইয়েদ আদিল হোসেন শাহের বাবা-মা। পেহেলগামে অস্ত্রধারীদের হামলায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কায় আদিলের স্বজনরা।
মাত্র ২৮ বছর বয়সী আদিল একজন স্থানীয় ট্রাভেল গাইড ও ঘোড়াচালক ছিলেন। পেহেলগামে হামলার দিনও তিনি এক পর্যটক পরিবারকে উপত্যকার সৌন্দর্য ঘুরে দেখাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই ভেসে আসে গুলির শব্দ। সেই সময় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন আদিল। তিনি এক বন্দুকধারীর দিকে দৌড়ে যান এবং তার অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
এই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অনেক পর্যটক পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হন আদিল এবং সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিহতদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে মাত্র একজন স্থানীয় ছিলেন, আর তিনিই হলেন সাহসী সাইয়েদ আদিল হোসেন শাহ।
স্থানীয়রা বলেন, “যখন সন্ত্রাসীরা বিভাজনের বুলেট নিয়ে এসেছিল, তখন আদিল ভালোবাসা নিয়ে সামনে দাঁড়িয়েছিল। সে শুধু জীবন বাঁচায়নি, দেশের জনগণের বিবেকও রক্ষা করেছে।”
আদিলের মত পেহেলগামের আরেক স্থানীয় ব্যক্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যিনি কাঁধে করে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এই ঘটনাটি এখন হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের এক নতুন প্রতীকে পরিণত হয়েছে—যেখানে একজন মুসলিম গাইডের সাহসিকতায় বেঁচে গেল এক হিন্দু পরিবার।
মারিয়া