
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক ও অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের মধ্যে চলমান টানাপোড়েন হোয়াইট হাউসে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের এক বৈঠকে এই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়, যা ঘিরে ওয়াশিংটন জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
খবরটি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম The New York Post। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে আইআরএস -সংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে আলোচনা চলছিল, যেখানে মাস্ক ও বেসেন্ট দুই ভিন্নমতের ধারক ছিলেন।
সূত্র জানায়, একপর্যায়ে ইলন মাস্ক উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন এবং এলোমেলো কথা বলেন। বিপরীতে, অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট তা একেবারেই মেনে নিতে রাজি হননি। দুজনে এতটাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন যে, তাদের কণ্ঠ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কানে পৌঁছায়, যিনি মাত্র কয়েক গজ দূরে ছিলেন।
হোয়াইট হাউসের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ইলন মাস্ক চান প্রশাসনিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলে একরকম বিপ্লবী সংস্কার চালাতে। অন্যদিকে, স্কট বেসেন্ট চান সংস্কার হোক, তবে তা যেন স্থিতিশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এই নীতিগত পার্থক্যই উভয়ের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত করে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক। সূত্র বলছে, আলোচনার সময় তাঁর অবস্থান ইলন মাস্কের পক্ষে বলে মনে হয়েছে। এতে আলোচনা আরও একতরফা হয়ে পড়ে এবং মাস্কের অবস্থান আরও তীব্র হয়।
ঘটনা সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “এটা গোপন নয় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন একটি দল গঠন করেছেন, যারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে গভীর আবেগপ্রবণ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোনো ভালো নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় মতভেদ থাকা স্বাভাবিক। চূড়ান্তভাবে সবাই জানে, তাঁরা প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করছেন।”
ফারুক