
ছবি : সংগৃহীত
হামাসের মতোই ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এমনকি ওসামা বিন লাদেনের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মনির। এই উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র এবং জেনারেল অসিম মনির হলেন সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের উচিত পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র এবং জেনারেল অসিম মনিরকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করা।
সাবেক এই পেন্টাগন কর্মকর্তা বলেন, “ওসামা বিন লাদেন ও জেনারেল অসিম মনিরের মধ্যে একটি মাত্র পার্থক্য আছে—ওসামা গুহার ভেতরে লুকিয়ে থাকতো, আর অসিম মনির প্রাসাদে থাকেন। আপনি যতই বোঝান না কেন যে পাকিস্তান সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক নয়, এটি সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকই থেকে যাবে। আপনি একটি শূকরের ঠোঁটে যতই লিপস্টিক লাগান না কেন, এটি শূকরই থেকে যাবে।”
পেহেলগাম হামলার ঘটনায় পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মনিরের একটি সাম্প্রতিক বক্তব্য নতুন করে আলোচনায় এসেছে। গেল ১৬ এপ্রিল এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিশ্বের কোনো শক্তিই কাশ্মীর থেকে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।” তার এই বক্তব্যের কয়েকদিন পরেই পেহেলগামে হামলা ঘটে, যা নিয়ে এখন ভারতীয় মহলে যোগসূত্র খোঁজা হচ্ছে।
ভারতীয়দের মতো একই সুরে কথা বলেন মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, “কাশ্মীর পাকিস্তানিদের ঘাড়ের শিরা। জেনারেল অসিম মনির এই হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এখন ভারতীয় সেনাদের উচিত পাকিস্তানের সেই ঘাড় কেটে ফেলা। এখানে এখন আর কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আইএসকে নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলের মতো করে পাকিস্তানে অভিযান চালানো উচিত।” একই ধরনের মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
এই ঘটনার পর এবারও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরিভান্সের ভারত সফরের সময় কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের ভারত সফরের সময়ও কাশ্মীরে একই ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
মারিয়া