
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন। এরপর থেকেই ইয়েমেনে কয়েক দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরও থেমে যায়নি ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি। ইয়েমেনিদের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লোহিত ও আরব সাগরে কুপোকাত হয়েছে মার্কিন বাহিনী। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এবার ইসরায়েলের গভীরে মিসাইল তাণ্ডব চালিয়েছে ইয়েমেনিরা।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে এবার সরাসরি আঘাত হেনেছে ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন। দীর্ঘদিন পর এমন এক কৌশলগত হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরায়েলের হৃদপিণ্ড। ইয়েমেনের যোদ্ধাদের দাবি, এই প্রথম ইসরায়েলের গভীরে গিয়ে সফলভাবে আঘাত হেনেছে তারা।
ইসরায়েল বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে হাইফা, কিরিয়াত আতা এবং পশ্চিম গ্যালিলিওসহ উত্তর ইসরায়েলে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে। এর ফলে তারা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সক্রিয় করেছে।
হুথি আন্দোলনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, গাজায় চলমান হামলা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যার জবাব দিতেই তারা এই হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নেও হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি।
এর আগেও ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে হুথি সদস্যরা। ওই সময় স্পষ্ট করে ইয়াহিয়া সারি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে হুথি বাহিনীর হামলা অব্যাহত থাকবে এবং প্রতিটি হামলায় সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হবে।
এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর ফলে যদি তাদেরকে টার্গেট করা হয়, তখন ইয়েমেনিরাও বসে থাকবে না; বরং দখলদারদের দৃষ্টান্তমূলক জবাব দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হুথি বাহিনী।
ইমরান