
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার ফলে চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ের কোনও স্থানই অবশিষ্ট নেই। সহিংসতা আর অবরোধের চাপে বন্ধ হয়ে গেছে সকল ধরনের ত্রাণ সহায়তা। এর প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়ও—সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে পোলিও টিকাদান কর্মসূচি, যার ফলে শারীরিক অক্ষমতার ঝুঁকিতে পড়েছে প্রায় ছয় লাখ শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিল দেকরান জানান, পোলিও ভ্যাকসিনের সরবরাহ বন্ধ থাকায় পুরো উপত্যকায় একটি বড় ধরনের স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অবিলম্বে ভ্যাকসিন না পৌঁছালে আমরা ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবো।”
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল দেকরান এ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি আরও বলেন, “শিশু ও রোগীদের রাজনৈতিক চাপ তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।”
দুই দশকের বেশি সময় পর গাজায় আবারও পোলিও দেখা দেয়। এরপর জাতিসংঘ, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন দফায় টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হয়। কিন্তু চলমান অবরোধের কারণে সেই কার্যক্রম এখন সম্পূর্ণ স্থগিত।
অবরোধ এবং যুদ্ধের ছায়ায়, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা আরও গভীর হচ্ছে গাজার প্রতিটি প্রান্তে।
সূত্র ঃ বিবিসি
রাজু