
ছবি সংগৃহীত
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্রীক পাহালগামে মঙ্গলবারের রক্তক্ষয়ী অস্ত্রহামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার পেছনে ‘পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ জঙ্গিদের’ হাত রয়েছে এ অভিযোগ দিল্লি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তুলেনি। কিন্তু সামরিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, “জবাবি ব্যবস্থা” প্রস্তুত হতে পারে।
দিল্লি-ভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (CLAWS)–এর পরিচালক ও ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা ড. তারা কার্থা আল–জাজিরাকে বলেন, “এটি কার্যত যুদ্ধতৎপরতা। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীরের সাম্প্রতিক উসকানিমূলক ভাষণের পরই এই হামলা ঘটল।”
তার দাবি, হামলাকারীদের কৌশল পাকিস্তান সেনাপ্রধানের ১৬ এপ্রিলের ‘‘দ্বি-জাতি তত্ত্ব’’ ও ‘‘হিন্দু থেকে ভিন্নত্ব’’–ভিত্তিক বক্তৃতার সুরের সঙ্গে মিলে যায়।
কার্থা সতর্ক করেন, “ইসলামাবাদ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা না দিলে বড় সংকট অনিবার্য।”
দিল্লির বিশ্লেষক সাবা নাকভী মনে করেন, জনমনে প্রতিশোধপরায়ণ প্রত্যাশা থাকলেও, ভারতের তুলনায় অস্থিতিশীল পাকিস্তানকে মাথায় রেখে দিল্লিকে হিসেবি হতে হবে। কেবল বোমা ফেললেই সব সমাধান। ব্যাপারটা এত সরল নয়।”
নাকভীর মতে, বিজেপি নেতৃত্ব দেশীয় ভোটারদের সামনে কঠোর অবস্থান দেখাতে পারে।তবে সামরিক অভিযানের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পার্শ্ব–প্রতিক্রিয়াও বিবেচনায় নিতে হবে।
আশিক