
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের প্যাহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে বন্দুকধারীদের চালানো হামলার পর এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। মঙ্গলবার নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আকাশে টহল দিচ্ছে একাধিক সেনা হেলিকপ্টার।
ভারতের সুইজারল্যান্ড হিসেবে পরিচিত প্যাহেলগামে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন পর্যটক এবং নেপালের একজন নাগরিক।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় গুলিবিদ্ধ অনেক পর্যটককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় স্বজনরা আহতদের খোঁজে হাসপাতালে ভিড় করছেন।
এই হামলার ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ এক পোস্টে তিনি অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান।
এদিকে, ভারতে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডিস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ বহু বিশ্বনেতা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প অটুট, এবং এই হামলার পর তা আরও দৃঢ় হবে।” তিনি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরেছেন এবং কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শ্রীনগরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং হামলার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে ভারত সরকার।
মারিয়া