
বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তাঁর সফরকালে তিনি তিন দিন ঢাকায় অবস্থান করেন এবং ব্যস্ত সময় কাটান। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাঁর সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও আন্তরিকতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে অনেকের হৃদয়ে।
পোপ ফ্রান্সিস সম্প্রতি ইস্টার সানডের পরের সোমবার, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, “পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন শান্তির প্রতীক এবং ধর্মীয় সহনশীলতার অনন্য উদাহরণ।”
২০১৭ সালের বাংলাদেশ সফরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রার্থনার আয়োজন করেন পোপ ফ্রান্সিস। এতে হাজার হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান অংশ নেন। একই সঙ্গে, ঢাকায় অবতরণ করেই তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ক্যাথলিক গির্জার বেশ কিছু সংস্কার ও উদারনীতির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি শুধু ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের নয়, বরং নন-ক্যাথলিক খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রতিও ছিলেন বন্ধুবৎসল। তিনি বারবার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মীয় ঐক্যের। তিনি বলেন, “আমার দরজা সবার জন্য খোলা।”
পোপ ফ্রান্সিসের আত্মজীবনী Hope (হোপ) জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়। বইটিতে তিনি নিজের জীবনের সংগ্রাম, বিশ্বাস, সংস্কার এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।
আফরোজা