
ছবি: সংগৃহীত
ভারতশাসিত কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পাহেলগাম এলাকার বৈসরানে মঙ্গলবার এক মর্মান্তিক হামলায় অন্তত ২৪ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন এবং বহু আহত হয়েছেন। গুলির এই ঘটনাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পাহেলগাম, যা "ভারতের সুইজারল্যান্ড" নামে পরিচিত, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকা গুলির শব্দে ভয় ও আতঙ্কে সবাই ছুটোছুটি করতে থাকে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডার লায়েন এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী, হামলাকারীরা মুসলিম নয় এমন পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আহতরা সাহায্যের জন্য কাঁদতে ও অনুরোধ করতে দেখা গেছে। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।
এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে চলমান বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সত্ত্বেও, পর্যটকদের উপর এমন সরাসরি ও বড় পরিসরের হামলা বিরল।
সরকারের দাবি অনুযায়ী, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর অঞ্চলটিতে সহিংসতা কমেছে। তবে এই হামলা প্রমাণ করছে যে, পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
২০২৪ সালের জুনে সর্বশেষ বড় হামলায় নয়জন হিন্দু তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। কাশ্মীরকে পর্যটনবান্ধব করতে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এবং ২০২৪ সালে প্রায় ৩৫ লক্ষ পর্যটক অঞ্চলটি ভ্রমণ করেন।
হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার কাশ্মীরজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: https://www.bbc.com/news/articles/cy9vyzzyjzlo
আবীর