
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে এবার সরাসরি আঘাত হেনেছে ইয়েমেনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন। দীর্ঘদিন পর এমন এক কৌশলগত হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরায়েলের হৃদপিণ্ড। ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দাবি, এই প্রথমবার তাদের উদ্ভাবিত মিসাইল 'সামাদ-১' ইসরায়েলের এত গভীরে গিয়ে সফলভাবে আঘাত হানল।
প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মুখপাত্র সোমবার সকালে জানান, ইসরায়েলের বন্দরনগরী ইলিয়াতের একটি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর আসকেলনে চালানো হয় ড্রোন হামলা। এই দুই দিক থেকে চালানো আক্রমণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত করে ফেলে।
গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজায় চলমান হামলা ও বেসামরিক নাগরিকদের উপর চালানো গণহত্যার জবাব দিতেই তারা এই হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, লোহিত সাগরেও মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান’-এ ইয়েমেনের নৌবাহিনী ও ড্রোন ইউনিটের একযোগে আক্রমণ সফল হয়েছে বলেও দাবি তাদের।
ইয়েমেনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, “আমেরিকা ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে আমাদের আঘাত অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি হামলাই লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।”
তারা আরও জানায়, ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোয় তাদেরকে টার্গেট করা হলেও তারা কখনো হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। বরং, দখলদারদের দৃষ্টান্তমূলক জবাব দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।
এছাড়াও, লোহিত ও আরব সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজেও চালানো হয়েছে সফল হামলা। মার্কিন অত্যাধুনিক ড্রোন 'MQ-9' ভূপাতিত করার ঘটনা উল্লেখ করে ইয়েমেনি যোদ্ধারা জানায়, আমেরিকার পাল্টা বিমান হামলাতেও তারা দুর্বল হয়নি, বরং আরো সংগঠিত ও প্রস্তুত।
তাদের দাবি, গাজায় ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের নারকীয় হামলা নিরীহ নারী ও শিশুদের রেহাই দেয়নি। সেই প্রেক্ষিতে, ইয়েমেনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী ‘সর্বশক্তি নিয়ে’ যুদ্ধক্ষেত্রে নেমেছে, যাতে দখলদার ও তাদের মিত্রদের দমনমূলক নীতির জবাব দেওয়া যায় শক্ত হাতে।
এ ঘটনায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর বড় ধাক্কা এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
https://youtu.be/HIeKccVQi_Q?si=FSoGtV4ImRiRmcXT
এম.কে.