
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, কুয়েতের মতো কাতারও বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে। মঙ্গলবার কাতারের দোহাতে আর্থনা সামিটের সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে এ কথা কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, গালফ যুদ্ধের সময় থেকেই কুয়েতে আমাদের সৈন্যরা (বাংলাদেশের) দায়িত্ব পালন করছেন। কাতার আমাদের জানিয়েছে, তারাও বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে। স্থায়ীভাবে প্রতি ৩ বছর পর পর একটা ব্যাচ আসবে।
আমরা চাইছি এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬০০ বা আরও বেশি যাতে করা যায়। আমাদের সামরিক সচিব এবং এসএসএফ প্রধান আমাকে মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেস সচিব আরও বলেন, এখানে একজন সৈন্যের প্রারম্ভিক বেতন আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার মতো। আমরা আশা করি, দুই মাসের মধ্যে পাঠাতে পারব। এ ছাড়া আরও ইস্যু আছে, আমরা কাতারে আরও বেশি শ্রমিক পাঠাতে চাই। আজকে আরেকটা বড় মিটিং আছে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে। কাতার হচ্ছে পৃথিবীতে এলএনজি’র জন্য এক নম্বর দেশ। কাতারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি। কিন্তু আমরা চাইছি আরও অনেক বেশি এলএনজি আমদানি করতে। কারণ প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগকারী আমাদের জানাচ্ছে যে, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে থাকা ৬০০ প্রতিষ্ঠানই নতুন সংযো
গের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস তো কমে যাচ্ছে।
শফিকুল আলম জানান, সরকার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুন্দর করতে চাইছে, যাতে করে এলএনজি আরও ভালো মূল্যে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, কাতারের কাছে পতিত স্বৈরাচার প্রচুর টাকা দেনা রেখে গেছে। কয়েকশ মিলিয়ন ডলার দেনা তারা দেয়নি।
এতে দেখা গেছে, কাতারের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। আমাদের সরকার এসে পুরো টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখন বোধহয় ৩৭ মিলিয়ন ডলারের মতো দেনা আছে। কালকে (বুধবার) বা এই সপ্তাহের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করা হবে।