
ইসরাইলি হামলায় ধসে যাওয়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে ফিলিস্তিনিরা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসর একটি নতুন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজার ২৫০ জনে পৌঁছেছে। খবর বিবিসি ও খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই প্রস্তাবে পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য একটি যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো যাওয়ার কথা রয়েছে।
আলোচনায় দলটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খলিল আল হাইয়া। এদিকে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলি পুলিশের পাহারায় পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসতি স্থাপনকারীরা দলে দলে এসে ফিলিস্তিনিদের উত্তেজিত করার জন্য ঘটনাস্থলে ঘুরে বেড়িয়েছে। ওয়াফা বলছে, পুরানো শহরজুড়ে ব্যাপকভাবে ইসরাইলি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আল-আকসার দিকে যাওয়া প্রতিটি গেটে সেনা বা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ওয়াফার কাছে ওই এলাকাটিকে এখন সামরিক ব্যারাকের মতো বলে বর্ণনা করেছেন। আলজাজিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের চেষ্টার ওপরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরাইলি পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় পুনরায় বোমাবর্ষণ শুরু করে।