
ছবিঃ সংগৃহীত
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের $২.৩ বিলিয়নের ফেডারেল গবেষণা তহবিল ফ্রিজ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। হার্ভার্ডের অভিযোগ, হোয়াইট হাউজের একতরফা শর্ত না মানায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার জন্য হুমকি।
বোস্টনের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য প্রাপ্ত তহবিল বন্ধ করে তাদের উপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
হার্ভার্ড বলেছে, এ পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার (First Amendment) সরাসরি লঙ্ঘন এবং তা একেবারে অন্যায় ও স্বেচ্ছাচারী।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র হ্যারিসন ফিল্ডস বলেন, “হার্ভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য ফেডারেল সহায়তা আর স্বাভাবিক থাকবে না — করদাতাদের অর্থ পাওয়া কোনও অধিকার নয়, এটা একটি সুবিধা, আর হার্ভার্ড সেটি পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না।”
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের প্যালেস্টাইনের পক্ষে আন্দোলন মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি, এসব বিক্ষোভে ইহুদিবিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা — এমনকি কিছু ইহুদি গোষ্ঠীও — বলছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের সমালোচনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ইহুদিবিদ্বেষ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
হার্ভার্ডই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যারা এ ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্চ মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের প্রায় $৯ বিলিয়নের ফেডারেল অর্থায়ন পর্যালোচনা শুরু করে এবং একগুচ্ছ শর্ত আরোপ করে — যেমন মুখোশ নিষিদ্ধকরণ, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি (DEI) কর্মসূচি বাতিল, বিদেশি তহবিল এবং শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রদান ইত্যাদি।
পরবর্তীতে হার্ভার্ডের $২.৩ বিলিয়ন তহবিল ফ্রিজ করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির কর-মুক্ত মর্যাদা ও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার ক্ষমতা বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়।
কোলাম্বিয়া, প্রিন্সটন, কর্নেল, নর্থওয়েস্টার্ন ও ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ও একই কারণে আংশিকভাবে তহবিল স্থগিতের মুখে পড়েছে।
হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বলেন, “আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব এবং বৈষম্যবিরোধী আইন যথাযথভাবে মান্য করব। হার্ভার্ড কোনও অন্যায়ের পক্ষে নয়, তবে শিক্ষার স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
মারিয়া