ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

তেল আবিবের আকাশে ‘জুলফিকার’, ইসরায়েলকে হুথিদের কড়া হুঁশিয়ারি!

প্রকাশিত: ০২:০২, ২২ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০২:০৪, ২২ এপ্রিল ২০২৫

তেল আবিবের আকাশে ‘জুলফিকার’, ইসরায়েলকে হুথিদের কড়া হুঁশিয়ারি!

ছবি: প্রতীকী

ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের দখলকৃত উপকণ্ঠ জাফার আকাশে ছুটে গেল ইরানি প্রযুক্তিতে তৈরি ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ‘জুলফিকার’। লক্ষ্য ছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টিত অঞ্চল বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরের পাশের একটি সামরিক ঘাঁটি। ‘জুলফিকার’ এর বিস্ফোরণের শব্দ শুধু বারুদের নয়—এ যেন এক ঘনিয়ে ওঠা প্রতিরোধের বার্তা।

এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন যুদ্ধবিমান হামলা চালায় ইয়েমেনের হুদায়েদা বন্দরে। সেখানে নিহত হন অন্তত ৭৪ জন, আহত হন আরও ১৭১ জন। এরই প্রতিক্রিয়ায় হুথি বিদ্রোহীরা চালায় এই সমন্বিত সামরিক অভিযানে। মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, তারা শুধু ইসরায়েল নয়, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির দিকেও।

দুই বিমানবাহী মার্কিন রণতরী ‘ট্রুম্যান’ ও ‘ভিনসন’ এর দিকেও চালানো হয় হামলা। এছাড়াও ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা বিভাগ সানা প্রদেশে গুলি করে নামিয়ে ফেলে একটি মার্কিন MQ-9 ড্রোন, যা মধ্যপ্রাচ্যে নিয়মিত নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয়। ইয়েমেন এই পাল্টা হামলার মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—তারা আর দুর্বল নয়। বরং তাদের স্বাধীন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন অনেক বেশি সংগঠিত ও কার্যকর।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো, ইরানি প্রযুক্তির ‘জুলফিকার’ ব্যালিস্টিক মিসাইলের সাহায্যে ইয়েমেন থেকে সরাসরি ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে হামলা চালানো হয়েছে। এটি শুধু একটি সামরিক বার্তা নয়—ইসরায়েলের জন্য এক গুরুতর কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ। কেননা, বেনগুরিয়নের মত কড়া নিরাপত্তা বেষ্টিত অঞ্চলে এ ধরনের হামলা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার দক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই হামলা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত করে থাকে, তাহলে এটি ইসরায়েলের জন্য এক নতুন ধরনের হুমকির সূচনা হতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে স্পষ্টতই ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ছায়া এবার ইয়েমেন হয়ে আরও বিস্তৃত হচ্ছে। ইয়েমেন জানিয়ে দিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আগ্রাসন চালায়, তাহলে প্রতিরোধ হবে আরও ভয়ঙ্কর। ফলে শান্তির পরিবর্তে পুরো অঞ্চলটি হয়তো ধাবিত হবে আরও বড় সংঘাতের দিকে।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=es1i6pWW7Wg

রাকিব

×