চীন সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করা অন্যান্য দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করে তীব্র শুল্ক যুদ্ধে ওয়াশিংটনকে ‘তুষ্ট’ করা দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার বেজিং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হলেও, চীন অনেক পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সম্মুখীন হয়েছে। চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য যুদ্ধের সমান্তরালে বেশ কয়েকটি দেশ এখন শুল্ক কমানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বেজিং সোমবার দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি না করে যা তাদের স্বার্থের সঙ্গে আপোস করে। বেজিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তুষ্টি শান্তি আনবে না এবং আপোসকে সম্মান করা হবে না।’ বেজিং বলেছে, অন্যের স্বার্থের বিনিময়ে নিজের সাময়িক স্বার্থ হাসিল করার অর্থ বাঘের কাছে তার চামড়া চাওয়ার শামিল। চীন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই পদ্ধতি, ‘চূড়ান্তভাবে উভয় দিকেই ব্যর্থ হবে এবং অন্যদের ক্ষতি করবে।’ ওই মুখপাত্র বলেন, চীনের স্বার্থের বিনিময়ে যে কোনো পক্ষের চুক্তিতে পৌঁছানোর তীব্র বিরোধিতা করে বেজিং। তারা আরও বলেন, যদি এমন পরিস্থিতি দেখা দেয়, চীন কখনই তা মেনে নেবে না এবং শক্তভাবে পারস্পরিক পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে ওয়াশিংটন এবং বেজিং একে অপরের আমদানির ওপর চোখ ধাঁধানো শুল্ক আরোপ করেছে। যা অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলোর মধ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা তৈরি করেছে এবং বাজারকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
প্যানেল
