ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

কমান্ডার হেইদারি

ইরান সেনাবাহিনীর কাছে ‘সর্বাধুনিক, গোপন এআই-চালিত’ অস্ত্র রয়েছে, শত্রুর বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ নেই

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২১ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৬:০৮, ২১ এপ্রিল ২০২৫

ইরান সেনাবাহিনীর কাছে ‘সর্বাধুনিক, গোপন এআই-চালিত’ অস্ত্র রয়েছে, শত্রুর বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ নেই

ছবিঃ সংগৃহীত

ইরান সেনাবাহিনীর স্থলবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়োমার্স হেইদারি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এমন কিছু আধুনিক ও সুপার-গোপন অস্ত্র রয়েছে, যেগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-চালিত এবং এগুলোর ক্ষমতা অত্যন্ত বিপর্যয়কর।

"আমাদের কাছে এমন উন্নত অস্ত্র রয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই গোপন, এমনকি কিছু একেবারেই অতি-গোপন। এগুলো এখনো প্রচলিত অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হলেও, প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগুলোর সক্ষমতা অসাধারণ," বলেন হেইদারি।

এই অস্ত্রগুলো এখনো জনসম্মুখে প্রকাশ না করার পেছনে কৌশলগত কারণ রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এই অস্ত্রগুলো সম্পূর্ণরূপে চালু এবং ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।

স্থলবাহিনীর আধুনিকায়ন ও প্রস্তুতি
হেইদারি বলেন, ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর থেকে ইরানের স্থলবাহিনী একটি বড় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেছে। আগের ঐতিহ্যবাহী কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে আজ এটি একটি আধুনিক, দ্রুতগতিসম্পন্ন ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বাহিনীতে রূপ নিয়েছে।

"আমাদের বাহিনী এখন দ্রুত সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা রাখে, চটপটে ও আক্রমণাত্মক অভিযানে পারদর্শী, এবং তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে প্রস্তুত," তিনি বলেন।

দেশের সীমান্ত রক্ষা ও গোয়েন্দা নজরদারি নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এরই অংশ হিসেবে ১০টি ডিভিশন সীমান্ত এলাকাগুলোতে কৌশলগতভাবে মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি স্পষ্ট করে দেন, এই মোতায়েনের মানে এই নয় যে সব হুমকি দূর হয়ে গেছে। বরং এটি একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ—যাতে শত্রুরা আগেই ভয় পায় ও সাহস না পায়।

গত পারস্য বছরের শেষ তিন মাসে পূর্ব, পশ্চিম ও উপকূলীয় অঞ্চলে তিনটি বড় সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাইবার প্রতিরক্ষা ও আইআরজিসির সঙ্গে সমন্বয়
আধুনিক যুগের সাইবার যুদ্ধের হুমকি মাথায় রেখে ইরান সেনাবাহিনী বিশেষ সাইবার ইউনিট গঠন করেছে। এখন এসব ইউনিট অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

"আমাদের সাইবার ইউনিটগুলো এখন সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে," বলেন হেইদারি।

এছাড়াও, স্থল, নৌ ও আকাশ—সব ক্ষেত্রে ইরান সেনাবাহিনী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতির প্রশংসা
জাতীয় সেনাবাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, "ইরানের সেনাবাহিনী কখনোই তাদের শৃঙ্খলা ও গঠনমূল কাঠামো থেকে বিচ্যুত হয়নি।"

তিনি আরও বলেন, ইরান এখন পশ্চিম এশিয়ায় এক নিরবিবাদী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে—এটি সম্ভব হয়েছে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর স্বনির্ভরতার কারণে।

মারিয়া

×