
ছবিঃ সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে ফিরলেন, তখন কেউই অজানা ছিলেন না যে, আবারও কিছু বিস্ফোরক ও বিতর্কিত মন্তব্যের ঝড় উঠতে চলেছে। তিনি হতবাক করেছেন, কখনো হাসিয়েছেন, আবার কখনো নীতিগত উত্তেজনা তৈরি করেছেন বিশ্বব্যাপী।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, হোয়াইট হাউসে ফিরে প্রথম ১০০ দিনে ট্রাম্প কী বলেছেন—
“আমাকে ঈশ্বর বাঁচিয়েছেন, কারণ আমার দায়িত্ব আমেরিকাকে আবার মহান করা”
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনেই আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে তিনি নিজেকে ঈশ্বর-নির্ধারিত নেতার মতো তুলে ধরেন, উল্লেখ করে কিভাবে তিনি গত বছর নির্বাচনী প্রচারে এক হত্যাচেষ্টায় বেঁচে যান।
“জেলেনস্কি একজন নির্বাচনবিহীন একনায়ক”
রাশিয়াপন্থী মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী সমর্থন থেকে পুরোপুরি সরে আসেন ট্রাম্প। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কি আসলেই এটা বলেছি?”
“সব দেশ ফোন করে আমার পেছনে পড়ে আছে”
বাণিজ্য নীতিতে নিজের কঠোর অবস্থানের ব্যঙ্গাত্মক প্রকাশে ট্রাম্প বলেন, বিশ্ব নেতারা যেন তার মন জোগাতে ব্যস্ত। এই মন্তব্যটি তিনি করেন তখন, যখন তার ঘোষিত নতুন শুল্ক ব্যবস্থা বিশ্ব অর্থনীতিকে বেশ নড়বড়ে করে তোলে।
“গাজা হবে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা”
গাজা উপত্যকায় বিলাসবহুল রিসোর্ট বানানোর কল্পনা শোনার পর সংবাদ সম্মেলনে অনেকেই অবাক হন। নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
“কানাডা আমাদের ৫১তম প্রিয় রাজ্য হওয়া উচিত”
এই বক্তব্য ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করলে কানাডিয়ানদের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই শঙ্কিত হন, যুক্তরাষ্ট্র বুঝি আসলেই এমন কিছু ভাবছে।
“ইইউ সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকাকে ঠকানোর জন্য”
প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে ট্রাম্প জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে আর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নয়—নতুন যুগে পুরোনো মিত্রতাও প্রশ্নবিদ্ধ।
“এই বিচারককে ইমপিচ করা উচিত!”
একটি অভিবাসন মামলায় তার ক্ষমতা সীমিত করার রায় দেওয়ার পর বিচারককে আক্রমণ করেন ট্রাম্প। এ মন্তব্যটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির কাছ থেকেও প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া ডেকে আনে।
এই ১০০ দিনে ট্রাম্প আবারও দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি কেবল একজন রাজনীতিক নন—একজন দৃশ্যপট-পরিবর্তনকারীও, যিনি নিজের মতো করেই নিয়ম লিখে ফেলেন।
মারিয়া