
ছবিঃ সংগৃহীত
আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হলো যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির অন্তত ৪০০ স্থানে হয় প্রতিবাদ কর্মসূচি। এতে অংশ নেয় লাখ লাখ মার্কিনি।কঠোর অভিবাসন নীতি, গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থন, অযৌক্তিক শুল্কারোপসহ একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে এই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে হিটলার ও স্টালিনের সাথে তুলনা করে আন্দোলনকারীরা ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ককেও তুলাধোনা করে ক্ষোভ ঝাড়েন। ক্ষমতা গ্রহণের ঠিক তিন মাসের মাথায় আরও একবার ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে উঠলো যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় ‘৫০৫০১’ নামের একটি সংগঠন। লক্ষ্য ছিল ৫০টি রাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে একটি বৃহৎ আন্দোলন সফল করা। আহ্বানে সাড়া দিয়ে একযোগে ৪০০ স্থানে হয় বিক্ষোভ।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েই ট্রাম্প কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতি, গাজায় আগ্রাসনে ইসরায়েলের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন, লাগামহীন শুল্ক আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট কর্তনের মতো প্রশ্নবিদ্ধ একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। এসব নীতির বিরুদ্ধেই মাঠে নেমেছে লাখ লাখ মার্কিনি।
নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন শত শত বিক্ষোভকারী। এরপর এগিয়ে চলেন ম্যানহাটনের রাস্তা ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ও পোস্টার হাতে, বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে চলে স্লোগান— “No Kings in America” আওয়াজ তুলে জানিয়ে দেন, কোনো স্বৈরাচারকে মেনে নেবে না মার্কিনিরা।
শিকাগোর রাস্তাও মুখরিত হয় ট্রাম্পবিরোধী নানা স্লোগানে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকান এক ধনকুবের জনগণের সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, আর ভোগান্তিতে পড়ছি আমরা। আরেক ধনকূপের শুকর হোয়াইট হাউসে বসে পুতিনের কথা মতো আমেরিকাকে চালাচ্ছে। কোনোভাবেই এসব মেনে নেব না, লড়াই চালিয়ে যাব।”
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনেও জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। তীব্র পুলিশি বাধার মুখেও পিছু হটেননি তারা। নানা ব্যঙ্গাত্মক উপায়ে চলে ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদ।
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ট্রাম্পকে হিটলার ও স্টালিন আখ্যাও দেওয়া হয়।
আরও একজন বলেন, “আমাদের আইনগত অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা ফ্যাসিবাদ। জোসেফ স্টালিনের কৌশল ব্যবহার করছে ট্রাম্প। আমাদের বোকা বানাতে পারবে না।”
ইমরান