ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

১৯ বছরের তরুণীকে ৩ বছরের কারাবাস দেওয়া হলো, কেন?

প্রকাশিত: ০০:০৮, ২১ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০০:১০, ২১ এপ্রিল ২০২৫

১৯ বছরের তরুণীকে ৩ বছরের কারাবাস দেওয়া হলো, কেন?

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার একটি আদালত ইউক্রেন‑যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদী কবি ও শিল্পী দারিয়া কোজিরেভাকে ২ বছর ৮ মাস (প্রায় ৩ বছর) কারাদণ্ড দেয়। ১৯ বছর বয়সী এই তরুণীকে রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে “অপমানজনক মন্তব্য” এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুদ্ধবিরোধী বার্তা প্রচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

দোষারোপের মূল কারণসমূহ
কোজিরেভা টারাস শেভচেঙ্কো’র একটি কবিতার লাইন পোস্টারে লিখে একটি ভাস্কর্যে লাগিয়েছিলেন।

রুশ-ভাষী ইউক্রেনীয় মিডিয়া Sever.Realii-কে সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিয়েছিলেন।

১৭ বছর বয়সে সেন্ট পিটার্সবার্গে মারিউপোল ধ্বংসের স্মারক ভাস্কর্যে “হত্যাকারীরা, তোমরা এটা বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছো—বিশ্বাসঘাতক” লিখেছিলেন।

২০২৪ সালে অনলাইনে যুদ্ধের সমালোচনা করায় ৩০,০০০ রুবল জরিমানা ও সেন্ট পিটার্সবার্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।

কোজিরেভার বক্তব্য
“আমার কোনো অপরাধ নেই, আমার বিবেক পরিষ্কার। কারণ সত্য কোনোদিন অপরাধী হয় না।”

এক বছর প্রি-ট্রায়াল হেফাজতের পর চলতি ফেব্রুয়ারিতে গৃহবন্দি হন। রায়ের সময় আদালতে রয়টার্স-এর সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নোবেল বিজয়ী মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল জানিয়েছে, রাশিয়ায় অন্তত ২৩৪ জন যুদ্ধবিরোধী কারাবাসে রয়েছে।

এসব মামলার লক্ষ্য—শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে দমন করা।

কবিতার উক্তি (তারাস শেভচেঙ্কো)
“আমায় কবর দাও, তারপর জেগে ওঠো
আর ভাঙো তোমার ভারি শৃঙ্খল
অত্যাচারীদের রক্তে স্নান করাও
দেখবে তুমি স্বাধীনতা অর্জন করেছো”

দারিয়া কোজিরেভার গল্প আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, যখন কবিতা ও গ্রাফিতির ভাষা স্বাধীনতার ডাক দেয়, তখন শাশ্বত সত্ত্বা কালদণ্ডিত হতে পারে—তবু সত্যের প্লাবন দমন করা না।

এসএফ 

×