
ছবিঃ সংগৃহীত
ফিলিস্তিন থেকে মুসলিমদের উৎখাত করতে রীতিমতো উঠে পড়ে লেগেছে দখলদার ইসরায়েল। তারা এখন এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে গেছে যে, পবিত্র ভূমি জেরুজালেমে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের স্টার অনুষ্ঠান পালনেও বাধা দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র এ ভূমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দখলদার সেনারা।
পবিত্র স্টার সানডের আগের দিন চেকপয়েন্ট বসানো হয়। দখলদারদের এমন কাণ্ডে রীতিমতো অবাক তাদের মিত্র খ্রিস্টানপ্রধান দেশগুলো।
ফিলিস্তিনের আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম ওয়াফা জানিয়েছে, পবিত্র ভূমির কেন্দ্রে অবস্থিত হলি সেপুলচারের গির্জার সামনে শনিবার (১৯ এপ্রিল) চেকপয়েন্ট বসিয়ে প্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র যাচাই করে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তরুণদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দখলদারদের এই সিদ্ধান্ত এমন একসময় এলো, যখন বছরের পবিত্র একটি দিন পালনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন যীশুখ্রিস্টের অনুরাগীরা। পশ্চিম তীরে বসবাসরত অধিকাংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরাও একই অভিযোগ করেছেন।
পবিত্র দিনটিকে ঘিরে পশ্চিম তীরে রওনা হয়েছিলেন হাজার হাজার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ। কিন্তু তারা যেন এই দিনটি পবিত্র ভূমিতে পালন করতে না পারেন, সেজন্য তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মুসলমানদেরও এই অঞ্চলে আসা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দখলদার বাহিনী। ওয়াফা জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে প্রবেশের জন্য প্রতিবছর ৫০ হাজার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর অনুমতি রয়েছে। এরপরও চলতি বছর মাত্র ৬,০০০ পর্যটককে পবিত্র এই ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে দখলদাররা।
গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরুর পর এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো খ্রিস্টানদের স্টার সানডে ও পবিত্র সপ্তাহ পালনে বাধা দিল ইসরায়েল। সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীরা হলি সেপুলচারের গির্জায় সংঘটিত ধর্মীয় আচারের জন্য জেরুজালেমে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালো দখলদার সেনারা।
হলি সেপুলচারের গির্জাকে পবিত্র স্থান মনে করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। তাদের মতে, এখানেই যীশুখ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল এবং সমাধিস্থ করা হয়। এমনকি যীশুর পুনরুত্থানের স্থান বলেও মনে করেন তারা। তবে ইসরায়েলের বাধায় তাদের পবিত্র দিনের উদযাপন বারবার ব্যাহত হচ্ছে।
যীশুখ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দিনটিকে ঘিরে এই অঞ্চলে নানা আয়োজন করে খ্রিস্টানরা। স্টার সানডে এলেই পবিত্র আচার, র্যালি ও ধর্মীয় প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন তারা। কিন্তু ইসরায়েলের কঠোর নজরদারিতে গত বছর থেকে এসব কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না যীশুভক্তরা।
ইমরান