
ছবি: সংগৃহীত
গাজা উপত্যকার ফটোসাংবাদিক ফাতেমা হাস্সুনা (২৫) বুধবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিজ বাড়িতে নিহত হন—বিয়ের মাত্র কয়েকদিন আগে। এ হামলায় তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বোনসহ পরিবারের আরও ১০ সদস্য প্রাণ হারান।
ফাতেমা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর মানবিক ও যুদ্ধকালীন বাস্তবতা তুলে ধরা শক্তিশালী আলোকচিত্রের জন্য পরিচিত ছিলেন। আগস্ট ২০২৪-এ তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, “যদি আমি মারা যাই, আমি চাই আমার মৃত্যু হোক গর্জনপূর্ণ। আমি চাই না এটি শুধু জরুরি খবরে আসুক বা সংখ্যায় পরিণত হোক।” তাঁর জীবনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র আগামী মাসে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সুরক্ষা কেন্দ্র (পিজেএসসি) ফাতেমার মৃত্যুকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সাংবাদিকদের ওপর একটি অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তারা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ২১২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যা ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক।
ফাতেমার চাচাতো ভাই হামজা হাস্সুনা সিএনএন-কে বলেন, “আমি বসে ছিলাম, হঠাৎ দুটি রকেট পড়ল—একটি আমার পাশে, আরেকটি বসার ঘরে। পুরো বাড়িটাই ধসে পড়ল।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলাটি ছিল লক্ষ্যভিত্তিক এবং এটি এক হামাস সদস্যকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল, যিনি ইসরায়েলি সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে জড়িত ছিলেন।
পিজেএসসি অবিলম্বে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি তুলেছে।
সূত্র: https://www.outlookindia.com/international/i-want-a-loud-death-gaza-photojournalist-fatima-hassouna-killed-in-israeli-airstrike-days-before-wedding
আবীর