
ছবি সংগৃহীত
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতা, বৈষম্য এবং নিপীড়নের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গুজরাট, দিল্লি, আসাম, উত্তরপ্রদেশ কিংবা পশ্চিমবঙ্গ—প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের হেনস্তা, উচ্ছেদ ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হলে, ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য।” এই প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—ভারত কি নিজেকে এই অঞ্চলের ‘নতুন ইসরায়েল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে?
ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার "এক দেশ, এক ধর্ম" নীতিকে সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলিম বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মিডল ইস্ট মনিটর প্রকাশিত একটি তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে বিজেপি রাজনৈতিক লাভের আশায় মুসলিমদের উপর নিপীড়ন চালিয়ে ভোটের মেরুকরণ করছে।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর ভূমিকা দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বোরকা পরিহিত নারীদের হয়রানি, মুসলিমদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, মসজিদ-মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া—এগুলো যেন এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিডল ইস্ট মনিটরের তথ্যচিত্রে দেখানো হয়, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা তথাকথিত ‘ক্র্যাকডাউনের’ নামে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। কট্টর হিন্দুত্ববাদী দর্শনের অনুসরণে, তার দল পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ব্যাপকহারে তাদের আটক করা হচ্ছে, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাড়িঘর ধ্বংস করা হচ্ছে। বহু মানুষকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বন্দিদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ এখন যেন এক স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতের আরেক রাজ্য উত্তরাখণ্ডে ১৭০টিরও বেশি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: https://www.middleeastmonitor.com/20250413-india-persecution-of-muslims-as-a-state-policy/
আশিক