
ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রচারকদের জন্য বিয়ে না করার যে রীতি রয়েছে, তা নিয়ে বহুদিন ধরেই কৌতূহল রয়েছে নানা মহলে। সম্প্রতি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিয়ে এই আলোচনাকে আরও উসকে দিয়েছে। তবে আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—দিলীপ ঘোষ বর্তমানে আর প্রচারক নন, ফলে তার বিয়েতে কোনও নিয়ম ভঙ্গ হয়নি।
আরএসএসের বাংলা, ওড়িশা, সিকিম এবং আন্দামান-নিকোবর অঞ্চলজুড়ে সংগঠনের ‘সহ-ক্ষেত্র প্রচার প্রমুখ’ ড. জিষ্ণু বসু বলেন, “একজন প্রচারককে সঙ্ঘের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হয়। পরিবার প্রতিপালনের জন্য আলাদা সময় দিলে সেই পূর্ণ সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধব গোলওয়ালকরের আমল থেকেই এই নিয়ম চালু রয়েছে।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, “সঙ্ঘ প্রচারকদের জীবিকা নির্বাহও সঙ্ঘের অর্থায়নে চলে। কিন্তু কেউ যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন তিনি আর সঙ্ঘের দায়িত্বে থাকেন না, বরং তার দায়িত্ব হয় রাজনৈতিক দলের প্রতি। ফলে প্রচারকের মতো জীবনযাপনও তখন আর সম্ভব হয় না।”
এই নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৫ সালে দিলীপ ঘোষ যখন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পান, তখন থেকেই তিনি আর আরএসএসের প্রচারক ছিলেন না। এরপর তিনি বিধায়ক (২০১৬–২০২১) ও সংসদ সদস্য (২০১৯–২০২৪) হন এবং নিয়মিত সরকারি ভাতা গ্রহণ করেন।
বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সঙ্ঘ যাদের রাজনৈতিক দায়িত্বে প্রেরণ করে, যেমন রাজ্য সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক, তারা আর প্রচারক থাকেন না। তবে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে যারা থাকেন, তারা অনেক সময় প্রচারক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেন।”
আরএসএস ও বিজেপির একাধিক নেতার ভাষ্য, “দিলীপদার বিয়ে করতে কোনও নিয়মগত বাধা ছিল না।”
ফারুক