
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। অবশেষে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যার কারণে তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের অবসান নিয়ে তৈরি হয়েছেে উত্তেজনা।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মাঝেই রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, তিনমাস পার হলেও সমাধান দিতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বৈঠকে আমন্ত্রণ পায়নি ইউক্রেন। যদিও আলোচনা শেষে কোনো সমাধানের পথ বের করতে পারেনি মস্কো ও হোয়াইট হাউস।
এবার নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ফ্রান্সের প্যারিস শহরে ইউরোপীয় নেতাদের সাথে বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কোরুবিও বলেন, যুদ্ধ বিরতির জন্য আমরা মাসের পর মাস এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব না। আমাদের আরো অনেক কাজ আছে। এটা স্পষ্ট যে, শান্তিচুক্তি করা অনেক কঠিন কাজ। ১৮ এপ্রিল মার্কিন এই কূটনীতিকের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মার্কোরুবিওর এমন প্রতিক্রিয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা এই সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। তবে নিজস্ব স্বার্থ নিশ্চিত করেই যুদ্ধবিরতিতে যাবে রাশিয়া।
এদিকে ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। একেরপর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। ১৮ এপ্রিল রুশ বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারায় অন্তত দুইজন ইউক্রেনীয় নাগরিক এমন দাবি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির।
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই তর্কে জড়ান জেলেনস্কি। ঐ ঘটনার পর হোয়াইট হাউস থেকে তাকে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় মার্কিন কর্মকর্তারা।
কিন্তু স্বার্থের বেলায় অটল ট্রাম্প। এবার ইউক্রেনের সাথে খনিজ চুক্তি করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৭ এপ্রিল দুই দেশ একটি স্মারকলিপিতে সাক্ষরও করেছে যার মাধ্যমে ইউক্রেনকে পুনর্গঠনে আর্থিক সহায়তা দিবে যুক্তরাষ্ট্র।
আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র। তবে চুক্তিতে ঠিক কী থাকবে তার বিস্তারিত প্রকাশ করেনি হোয়াইট হাউস। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদকে কেন্দ্র করেই দেশটির সাথে চুক্তি করবে মার্কিন প্রশাসন।
মায়মুনা