ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

গাজায় খর্বাকৃতি ও বিকলাঙ্গ শিশু জন্মের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১৯ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০৯:৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় খর্বাকৃতি ও বিকলাঙ্গ শিশু জন্মের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে

গাজায় ফিলিস্তিনিদের চিহ্ন মুছে দিতে নারকীয় এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের অনুসন্ধানে উঠে আসে হামলার ভয়াবহতা। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে নারী ও শিশুদের। এছাড়া বিস্ফোরক থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে খর্বাকৃতি ও বিকলাঙ্গ শিশু জন্মের হার।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কিভাবে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসে নারী এবং শিশুদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করছে নেতানিয়াহু বাহিনী। তাদের চলমান আগ্রাসনে নিহতের মধ্যে ১৬ হাজারই শিশু। এর মধ্যে নবজাতক প্রায় ২০০। নারী ও শিশু হত্যার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের চিহ্ন মুছে দিতে পরিকল্পিতভাবে প্রজনন স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করে চলেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে এখন পর্যন্ত নষ্ট করা হয়েছে উপত্যকাটির বিভিন্ন হাসপাতালে সংরক্ষিত ৪ হাজার হিমায়িত ভ্রুণ। 

প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ না থাকায় বন্ধ কৃত্রিম প্রজনন চিকিৎসাও। পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে গাজায় প্রায় ৫০,০০০ গর্ভবতী নারী রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলিদের ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে গর্ভকালীন নিরাপত্তা, প্রসব ও নবজাতকদের পরিচর্যায় নেই প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম। জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএন আর ডাব্লিউ এর তথ্যানুযায়ী গাজার চার হাজারের বেশি গর্ভবতী নারী ভুগছেন তীব্র অপুষ্টিতে। প্রসূতির অপুষ্টিতে থাকার প্রভাব পড়ছে অনাগত সন্তানদের ওপর। তীব্র স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা নিয়ে জন্ম নিচ্ছে নবজাতকরা। বর্তমানে ভূমিষ্ট শিশুদের কেউই স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে খর্বাকৃতির শিশু জন্মের হার। 

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গাজার বাতাসে বৃদ্ধি পেয়েছে বিস্ফোরক থেকে নির্গত তেজষ্ক্রিয় ও ফসফরাস জাতীয় বিষাক্ত উপাদানের পরিমাণ। যা গর্ভপাত এবং বিকলাঙ্গ শিশু জন্মের অন্যতম কারণ। 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=FHvg2f5f5Pc

মুমু

×