
গাজায় ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বুধবার নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক ফাতমা হাসোনা। তিনি একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মে কাজ করছিলেন। যা আগামী মে মাসে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের কথা ছিল। ২৫ বছর বয়সী ফাতমা হাসোনা ইসরাইলি হামলায় নিহত সাধারণ মানুষের ছবি তোলার জন্য পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ফিল্মের পরিচালক সেপিদেহ ফারসি। ফারসি বলেন, হাসোনা তার বাড়িতে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে নিহত হন।
ফারসি জানান, কয়েক মাস আগে ফাতমার বাগদান হয়েছিল। কিছুদিন আগেই তিনি ফাতমা এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ফারসি বলেন, একজন বোন গর্ভবতী ছিল। দুই দিন আগে ভিডিও কলে ওরা আমায় বাচ্চার পেট দেখিয়েছিল। এটা খুবই ভয়ানক আর হৃদয়বিদারক। ‘পুট ইয়োর সোল অন ইয়োর হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’ ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। সেটা কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর জন্য নির্বাচিত হয়। ফাতমাকে কীভাবে কান উৎসবে নিয়ে যাওয়া যায়, সে তদবির করছিলেন ফারসি। সেখান থেকে কীভাবে গাজায় ফেরত আসবেন, তা নিয়ে ভাবনায় ছিলেন ফাতমা। ছবিটি মূলত একটি ১১০ মিনিটের ডকুমেন্টারি। এটি ইসরাইলের গাজা হামলা শুরুর পর প্রায় এক বছরের মতো সময় ধরে ফারসি এবং হাসোনার মধ্যে চলা কথোপকথনকে তুলে ধরে।
এসিআইডির ওয়েবসাইটে ফিল্মের বিবরণে ফারসি বলেন, এই ফিল্ম একটি জানালা, যা খুলেছে ফাতমার সঙ্গে এক অলৌকিক সাক্ষাতে। এটি চলমান গণহত্যার দৃশ্য আমাদের সামনে তুলে ধরে। তিনি আরও বলেন, সে গাজায় আমার চোখ, আর আমি বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ।