
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজত্বকারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার ৭০ বছরের শাসনামলে ১২০টি দেশ ভ্রমণ করলেও কখনো ইসরায়েলে পা রাখেননি। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, শুধু ভ্রমণই নয়, তার আমলে কোনো ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতো না। এই দীর্ঘদিনের বৈরিতার নতুন প্রমাণ মিলেছে যখন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গোপনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে লন্ডনে বৈঠক করেন, যা ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের একাংশের তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন তার স্মৃতিচারণে উল্লেখ করেছেন, "রানি এলিজাবেথ ইসরায়েলকে কখনোই সমর্থন করেননি। তার ধারণা ছিল প্রতিটি ইসরায়েলি হয় একজন সন্ত্রাসী নয়তো সন্ত্রাসীর সন্তান।" রিভলিন আরো জানান, রানির শাসনামলে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলন ছাড়া ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের রাজপ্রাসাদে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
এই বৈরী মনোভাবের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষকরা ফিলিস্তিন ইস্যুতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দীর্ঘদিনের অবস্থানের সাথে যুক্ত করেন।
ধারনা করা হয় ১৯৪০ এ ফিলিস্তিনে বৃটিশ ম্যান্ডেট এর সময় ইহুদিবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠি গুলোর সহিংস বিদ্রোহ এবং বৃটিশ সেনাদের উপর হামলার কারনে ইসরায়েলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠে বৃটিশ রাজপরিবারের। ২০১৪ -২০২১ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন পরা রেভলিন বলেন, ইসরায়েলের সাথে রানির সম্পর্ক জটিল ছিল।
রানির ইসরায়েল বিরোধী আরেকটি কারন হলো ১৯৮৪ সালের জর্ডান সফর, সেখানে অবস্থান কালে ইসরায়েলী যুদ্ধ বিমান দখলকৃত পশ্চিম তীরের আকাশ সীমায় উড়তে দেখে রানি নাকি বলেছিলেন, তা ছিল এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। এত কিছুর পরেও জন পরিসরে রানি ইসরায়েল সম্পর্কে কোন কথা বলেন নি।
সূত্র:https://youtu.be/5ptGTLCDSk0?si=gMhe6XhQcTXSA3BT
আঁখি