ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইরানের ওপর ট্রাম্পের সামরিক আক্রমণের হুমকিকে অবৈধ, অগ্রহণযোগ্য দাবি রাশিয়ার

প্রকাশিত: ০০:১৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০০:১৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

ইরানের ওপর ট্রাম্পের সামরিক আক্রমণের হুমকিকে অবৈধ, অগ্রহণযোগ্য দাবি রাশিয়ার

ছবিঃ সংগৃহীত

[11:54 PM, 4/17/2025] Maria Hasiba: ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইউএসের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বৈশ্বিক সমস্যা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

মস্কো/দুবাই, ১৭ এপ্রিল (রয়টার্স): ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচিকে বৃহস্পতিবার মস্কো পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে পরমাণু আলোচনার বিষয়ে একটি চিঠি দেন। এই চিঠিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিরুদ্ধে অবস্থান তুলে ধরেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ইরানকে পরমাণু চুক্তি না করলে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছেন, এবং তৃতীয় দেশগুলোকে ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করার জন্য শুল্ক আরোপেরও হুমকি দিয়েছেন। এর সাথে যুক্তরাষ্ট্র আরো যুদ্ধবিমান মধ্যপ্…
[11:55 PM, 4/17/2025] Maria Hasiba: রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হুমকিকে "অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য" বলে আখ্যায়িত করেছে। ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু আলোচনা ও আঞ্চলিক কূটনীতির প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য আসে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পরমাণু আলোচনা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরা হয়।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বৃহস্পতিবার মস্কো সফর করেন এবং খামেনির পক্ষ থেকে পুতিনের হাতে চিঠিটি তুলে দেন। বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা এবং চীনের সাথেও চলমান পরামর্শের বিষয়টি উঠে আসে।

আরাকচি জানান, ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার কোনোভাবেই আলোচনার টেবিলে আনবে না। তিনি আরও বলেন, “এই ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করার একটি ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

সম্প্রতি ওমানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক দফা আলোচনা হয়, যা উভয় পক্ষই “ইতিবাচক ও গঠনমূলক” হিসেবে বর্ণনা করেছে। দ্বিতীয় দফা আলোচনা রোমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যে, পরমাণু চুক্তিতে ফিরে না এলে সামরিক আক্রমণ করা হবে। তিনি তৃতীয় দেশগুলোকে ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করার জন্যও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করে।

২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়, যা রাশিয়া সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ স্বাক্ষর করেছিল। রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একজন ভেটোক্ষমতা সম্পন্ন সদস্য হিসেবে তখন থেকেই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

রাশিয়া ও ইরান বর্তমানে একটি ২০ বছরের কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিতে আবদ্ধ। যদিও এতে কোনো সামরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি নেই, দুই দেশই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করেছে।

ক্রেমলিন জানায়, ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত নিয়ন্ত্রণে তারা কোনো মন্তব্য করবে না, তবে রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার পক্ষে নয়। পুতিন ও খামেনির মধ্যে সুসম্পর্ক থাকায় রাশিয়া ইরানকে বন্ধু হিসেবে দেখছে এবং এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য একসাথে কাজ করতে আগ্রহী।

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×