
ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বের প্রতিটি দেশেই নিজস্ব একটি মাতৃভাষা রয়েছে, আর সেই ভাষায় কথা বলতেই মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনৈতিক যোগাযোগে একটি অভিন্ন ভাষার প্রয়োজনীয়তা সামনে এসেছে। এই জায়গা থেকেই ইংরেজি এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ভাষায় পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলেন। এর মধ্যে প্রায় ৩৭৩ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ ইংরেজিকে মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করেন, আর বাকিরা দ্বিতীয় কিংবা বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি চর্চা করেন। বর্তমানে বিশ্বের ১৮৬টিরও বেশি দেশে ইংরেজি প্রচলিত রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে EF English Proficiency Index 2024, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইংরেজি দক্ষতার ভিত্তিতে একটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন ১০টি দেশ সবচেয়ে ভালোভাবে ইংরেজি বলে:
১. নেদারল্যান্ডস
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, স্কোর ৬৩৬। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থায় ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি শেখানো হয়। পাশাপাশি ব্যবসা ও গণমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে ইংরেজি ব্যবহৃত হয়, যা তাদের দক্ষতার মূল উৎস।
২. নরওয়ে
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে (স্কোর ৬১০)। ইংরেজি ভাষায় সিনেমা ও টিভি অনুষ্ঠানে ডাবিং না করার ফলে মানুষ সহজেই ভাষাটি রপ্ত করতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও রয়েছে ইংরেজির প্রচলন।
৩. সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরের অবস্থান তৃতীয় (স্কোর ৬০৯)। দেশটির অন্যতম সরকারি ভাষা ইংরেজি। শিক্ষা, প্রশাসন ও ব্যবসায় ইংরেজি ব্যবহার বাধ্যতামূলক, ফলে এখানকার মানুষজন অত্যন্ত দক্ষভাবে ইংরেজি বলতে পারে।
৪. সুইডেন
চতুর্থ স্থানে রয়েছে সুইডেন (স্কোর ৬০৮)। মিডিয়ায় ডাবিংবিহীন ইংরেজি কনটেন্ট এবং শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থার কারণে ইংরেজি দক্ষতায় তারা অনেক এগিয়ে।
৫. ক্রোয়েশিয়া
ক্রোয়েশিয়া পঞ্চম স্থানে (স্কোর ৬০৭)। পর্যটন এবং বৈশ্বিক ব্যবসার প্রয়োজন মেটাতে এখানে ইংরেজির ব্যাপক ব্যবহার হয়, যা তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
৬. পর্তুগাল
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পর্তুগাল (স্কোর ৬০৫)। এখানে স্কুল পর্যায় থেকেই ইংরেজি বাধ্যতামূলক বিষয়। পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিতেও ইংরেজির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৮. গ্রিস
অষ্টম স্থানে রয়েছে গ্রিস (স্কোর ৬০২)। দেশটির পর্যটন খাতে ইংরেজির ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে, আর স্কুল পর্যায়েও ইংরেজি শেখানো হয় গুরুত্ব সহকারে।
৯. অস্ট্রিয়া
নবম অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়া (স্কোর ৬০০)। এখানকার শিক্ষার্থীরা শৈশব থেকেই ইংরেজি শেখে। আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও পর্যটনে ইংরেজির ব্যবহার এখানেও গুরুত্বপূর্ণ।
১০. জার্মানি
দশম স্থানে রয়েছে জার্মানি (স্কোর ৫৯৮)। শক্তিশালী অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সংযোগের কারণে জার্মানরা ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি শেখে এবং ব্যবহার করে।
সায়মা ইসলাম