
ছবিঃ সংগৃহীত
বিদেশে পশুপাখি কিংবা বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে পিঁপড়া পাচার—হ্যাঁ, এমন ঘটনাও ঘটেছে কেনিয়ায়। দেশটি থেকে বিশেষ প্রজাতির প্রায় ৫,০০০ রানী পিঁপড়া পাচারের চেষ্টা করছিল আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্যরা। যেগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে। প্রতিটি রানী পিঁপড়ার দাম ১৩০ ডলারেরও বেশি।
এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে চক্রের চার সদস্যকে। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রায় ৫,০০০ জীবিত পিঁপড়া উদ্ধার করা হয়েছে পাচারকারীদের কাছ থেকে। টিউব আর সিরিঞ্জে ভরে বিদেশে পিঁপড়া পাচারের চেষ্টা করছিল আন্তর্জাতিক এই চক্রটি।
লালচে-বাদামি রঙের এই পিঁপড়াগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। প্রতিটি রানী পিঁপড়া স্থানীয়ভাবে পরিচিত "জায়ান্ট হারভেস্টার অ্যান্ট" নামে। দৈর্ঘ্যে ২৪ মিলিমিটার সাইজের এই পিঁপড়ার ক্রেতা মূলত ইউরোপের পোকামাকড় সংগ্রাহকরা। বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী কেনিয়ায় এটি বেচাকেনা নিষিদ্ধ। তারপরও প্রতিটি কুইন বা রানী পিঁপড়ার জন্য ১৩০ ডলারের বেশি খরচ করে থাকেন তারা।
রাজধানী নাইরোবিতে চালানটি সহ আটক হয়েছে চারজন, যাদের মধ্যে দুজন বেলজিয়ান, একজন ভিয়েতনামি ও একজন কেনিয়ান নাগরিক। "অ্যান্ট গ্যাং" নামের আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সদস্য তারা।
নাইরোবি প্রসিকিউটর আলেন মুলামা বলেন, "এটি একটি সংগঠিত চক্র। জড়িত চারজনই আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। বুধবার আদালতে তাদের সাজা ঘোষণা করা হবে।"
আটককারীদের একজন বলেন, "আমরা আইন ভাঙতে চাইনি, ভুল করেছি। কিন্তু আমি নিজেকে অপরাধী মনে করি না, তবুও শাস্তি মেনে নিচ্ছি।"
শখের বসেই অনেকে এসব পিঁপড়াকে রাখেন ফার্মিকারিয়ামে—এক ধরনের কাচের ঘরে। অনেকটা মানব সমাজের মতোই এ ঘরে তৈরি হয় পিঁপড়ার বসতি। একটি রানী পিঁপড়াকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে গোটা একটি কলোনি।
ইমরান