ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইরান ও সৌদি ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তন, উপেক্ষিত নেতানিয়াহু

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

ইরান ও সৌদি ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তন, উপেক্ষিত নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করেই ইরানের সঙ্গে নিউক্লিয়ার চুক্তি পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বিস্মিত করেছেন। একইসাথে তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে একটি পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি করতে যাচ্ছেন, যেটি ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সঙ্গে আর যুক্ত থাকছে না।

নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন এই আশায় যে, ইরান প্রসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে আবারও ঘনিষ্ঠ কৌশল নির্ধারণ হবে। কিন্তু ওভাল অফিসে বসেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, ইরানের সঙ্গে নতুন আলোচনা শুরু হচ্ছে এবং এতে ইসরায়েলের কোনো ভূমিকা থাকছে না। এটি ছিল এক প্রকার মৌন অপমান, বিশেষ করে সেই ট্রাম্পের কাছ থেকে, যিনি ২০১৮ সালে ইরান চুক্তি নাকচ করেছিলেন নেতানিয়াহুর চাপেই।

বর্তমানে ইরান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে থাকায় ট্রাম্প মনে করছেন, এটাই সঠিক সময় একটি চুক্তি করে কৃতিত্ব নেওয়ার। অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর প্রভাব স্পষ্টভাবে কমে যাচ্ছে, এবং তার দীর্ঘদিনের মিত্র এআইপ্যাক-ও হয়তো এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দ্বিধায় পড়বে।

এর মধ্যেই আরও বড় ধাক্কা আসে সৌদি আরব প্রসঙ্গে। ট্রাম্প এখন সৌদির সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার শর্ত আর নেই। এই আলোচনার সূচনা হয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের সময়ে, কিন্তু সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিসহ কিছু দাবি তোলায় তা ভেস্তে যায় — যা নেতানিয়াহুর জন্য ছিল অগ্রহণযোগ্য।

ট্রাম্পের লক্ষ্য এখন একটি দ্রুত পররাষ্ট্রনীতি সাফল্য দেখানো, বিশেষ করে তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পর। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় ইসরায়েল ও নেটানিয়াহু একরকম কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে আগে ইসরায়েল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার, সেখানে এখন বড় সিদ্ধান্তগুলো ইসরায়েলকে বাইরে রেখেই নেওয়া হচ্ছে।

 

সূত্র: https://www.jpost.com/opinion/article-850370

আবীর

×