ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ, ইসরায়েলে তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ, ইসরায়েলে তোলপাড়

ছবি : সংগৃহীত

গাজায় ইসরাইলের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্টে পুনরায় 'ইসরাইল ব্যতীত সকল দেশে ভ্রমণযোগ্য' শর্ত ফিরিয়ে এনেছে, যা ২০২১ সালে অপসারণ করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইসরাইলে বাংলাদেশীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। অন্যদিকে মালদ্বীপ সরকার ইসরাইলি নাগরিকদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে।

 

 

গত কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় ৩০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ করেছে। এই বিক্ষোভ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। মালদ্বীপের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিল পাস করেছে, যা প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে অনুমোদন করেছেন।

 

ইসরাইলি গণমাধ্যম বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তকে ব্যাপকভাবে কভার করেছে। টাইমস অফ ইসরাইল তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে বাংলাদেশের পাসপোর্টে আবারো 'ইসরাইল ব্যতীত' শব্দ যোগ করা হয়েছে। মালদ্বীপে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ২ লাখ পর্যটক গিয়েছিলেন যার মধ্যে প্রায় ৫০ জন ছিলেন ইসরাইলি নাগরিক। এখন থেকে তাদের মালদ্বীপে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। ১৯৭৪ সালে ইসলামিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় এবং ইসরাইলের সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকে। যদিও ২০২১ সালে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে 'ইসরাইল ব্যতীত' শব্দটি অপসারণ করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার তা পুনর্বহাল করেছে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অটল সমর্থনকেই প্রতিফলিত করে।

 

 

ফিলিস্তিনিদের প্রতি এই সংহতি প্রকাশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে এই পদক্ষেপকে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের এই অবস্থান ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য সংগ্রামে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছে।

আঁখি

×