ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

প্রশাসনের উপস্থিতিতেই ভারতের পান্না জেলার মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়েছে

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

প্রশাসনের উপস্থিতিতেই ভারতের পান্না জেলার মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

পুরো ভারত জুড়ে চলছে মাদ্রাসা ভাঙ্গা ও সিলগালার মহাযজ্ঞ। ভারতের ওয়াকফ আইনের আলোকে পান্না জেলার একটি পুরনো মাদ্রাসাকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে প্রশাসনের উপস্থিতিতেই। মাদরাসাটিকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে ‘স্বেচ্ছায়’ সেটি ভাঙা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ধর্মীয় বৈষম্যের এমন ঘৃণ্য নজির পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। এই ধারাবাহিক মাদ্রাসা ভাঙার ঘটনা ও এর সঙ্গে জড়িত সহিংসতা ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা এটিকে ধর্মীয় বৈষম্য ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

ভারতে সম্প্রতি পাস হয়েছে ওয়াকফ আইন। এ নিয়ে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিলের দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। তবে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও এরই মধ্যে ওই আইনের অধীনে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা। 

মুসলিমদের কে হয়রানি করা, বাড়িঘরে হামলা করা এখন ভারতের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কয়েকদিন আগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন মুসলিম নারীর হিজাব জোর করে খুলে ফেলছেন কয়েকজন হিন্দু যুবক। একই সাথে ওই নারীর সাথে থাকা পুরুষকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। সবচেয়ে বেশি মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে। সম্প্রতি একটি দাঙ্গা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন মুসলিমরা। পুলিশ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে তারা আর মুসলিমদের কোনরকম নিরাপত্তা দিতে পারবেন না যে কারণে বাধ্য হয়েই বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় মুসলমানরা।

হলদোয়ানির সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এ.পি. বাজপেয়ী বলেন, “আমরা একটি বিশেষ অভিযান চালাচ্ছি। বেশ কিছু মাদ্রাসা যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। ইতিমধ্যে সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দেওয়া হয়েছে।”

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বনভুলপুরা এলাকায় একটি মাদ্রাসা ভাঙা হয় ‘দখলবিরোধী অভিযান’-এর অংশ হিসেবে। ওই ঘটনায় স্থানীয় মুসলমানদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন তখন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় এবং স্থানীয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে মাদ্রাসাগুলোকে ঘিরে প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করছে।

সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=575071098935486&rdid=yQNc6tmmJ6cmqDq6

ফারুক

×