ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

গাজা না থাকলে তেল আবিবও থাকবে না!

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

গাজা না থাকলে তেল আবিবও থাকবে না!

ছবি: সংগৃহীত

যেভাবে ফিলিস্তিনিদের নিজ মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করছে ইসরাইল, ঠিক তেমনি এক বিভীষিকাময় পুনরাবৃত্তি ঘটছে এবার ইসরাইলেই। নিরাপত্তাহীনতার ভয়াল ছায়া ঘনিয়ে এসেছে তেল আবিব শহরের উপর। হুঁশিয়ারি এসেছে ইয়েমেনের ইসলামী প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে— তেল আবিব আর নিরাপদ নয়, যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে মিসাইল বা ড্রোন।

এই বার্তার পর তেল আবিবে শুরু হয়েছে আতঙ্ক, শহর ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে ইসরাইলিদের মধ্যে। ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কড়া হুঁশিয়ারির পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিন প্রশ্নে বরাবরই নির্মম আচরণ করেছে ইসরাইল। উৎসব হোক কিংবা নামাজ, রেহাই পায় না গাজার জনগণ। এমনকি রোজার মাস বা ঈদের দিনেও মিসাইল হামলায় প্রিয়জন হারাতে হয় তাদের।

এবার সেই একই দুঃসহ বাস্তবতা বুঝতে শুরু করেছে ইসরাইলিরাও। একের পর এক মিসাইল ও ড্রোন আঘাত হানছে তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে। ইয়েমেনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী জানিয়েছে, অন্তত ২০টি ব্যালিস্টিক এবং হাইপারসোনিক মিসাইল ছোড়া হয়েছে ইসরাইলের দিকে। ইতোমধ্যেই সেই হামলার কিছু ধ্বংসাত্মক ছবি প্রকাশ করেছে গোষ্ঠীটি, যেখানে তেল আবিবের বিস্তীর্ণ অংশে বিস্ফোরণের চিহ্ন স্পষ্ট।

এরই মাঝে ইয়েমেনের পক্ষ থেকে তেল আবিবের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে শেষবারের মতো সতর্কতা—এই শহরের আর কোনো প্রান্ত নিরাপদ নয়। বাঁচতে চাইলে শহর ছেড়ে যাওয়াই একমাত্র উপায়।

অন্যদিকে ইসরাইলি প্রশাসন ও নেতানিয়াহুর সরকার এসব হামলার তথ্য কঠোর গোপনীয়তায় রাখছে। চেষ্টা চলছে জনগণের মাঝে আতঙ্ক না ছড়াতে। বলা হচ্ছে, ইয়েমেনের মিসাইল নাকি ইসরাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি থেকে স্পষ্ট, দাউ দাউ করে জ্বলছে তেল আবিব, দিন-রাত সাইরেন বাজছে, আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ।

ইসরাইলের গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইয়েমেনের হামলায় এত বিশাল সংখ্যক মানুষ আগে কখনও আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। এখন প্রশ্ন উঠছে—যদি গাজায় শান্তি না থাকে, তবে তেল আবিবই বা নিরাপদ থাকবে কেন?

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/yFTpGJaBUHk?si=cd1wqWFhgc8OxU9U

এম.কে.

×