
ছবি : সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নতুন করে বিপদের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি গাজার বিভিন্ন এলাকায় চালানো প্রতিশোধমূলক অভিযানে কমপক্ষে একজন ইসরাইলি সেনা নিহত ও একাধিক আহত হয়েছে। যদিও নিহতের সংখ্যা কম হলেও সমর বিশ্লেষকরা এই হামলাকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের নবউত্থানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
সোমবার গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলের সুজাইয়া পাড়ায় একটি বাড়িতে আটকা পড়া ইসরাইলি সেনাদের উপর ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা হামলা চালায়। একই দিনে দক্ষিণ গাজার রাফা শহরেও আকস্মিক অভিযানে কয়েকজন ইসরাইলি সেনা নিহত ও আহত হয়। হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, হতাহত সেনাদের হেলিকপ্টারে করে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড দাবি করেছে, তাদের একজন স্নাইপার সুজাইয়া পাড়ায় অবস্থানরত একজন ইসরাইলি সেনাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় স্থল ও বিমান হামলা তীব্রতর করার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এই অভিযান আসা হয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরাইলি বাহিনীর কামান ও বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
গত ১৮ মার্চ ইসরাইলের আকস্মিক বিমান হামলায় কমপক্ষে ১,৬১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৪,২৩৩ জন আহত হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত ৫০,৯৮৩ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
হামাস জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় ও জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের নিশ্চয়তা দেওয়া হলে তারা যেকোনো প্রস্তাব বিবেচনা করতে প্রস্তুত। তবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
এই সংঘাতের মধ্যেই গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের নতুন এই উত্থান ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র:https://youtu.be/ce-Jo-IBj2g?si=XttgykzDoDTlnV2N
আঁখি