
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ‘অর্ডার অফ নাইন অ্যাঙ্গেলস’ নামে একটি উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত হয় সে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটিকে আর্থিক সহায়তার জন্য প্রাথমিক ধাপে নিজের বাবা-মাকে গুলি করে হত্যা করে সে, এবং পালানোর সময় মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়।
উইসকনসিনের বাসিন্দা কিশোর নিকিতা ক্যাসাপ, যাকে বাইরে থেকে সাধারণ কিশোর মনে হলেও, সে জড়িত ছিল ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্রে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি, নিজের বাবা ডোনাল্ড মেয়ার এবং মা তাতিয়ানা কেসাপকে মাথা ও শরীরে একাধিক গুলি করে হত্যা করে সে। এফবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, এ হত্যাকাণ্ড ছিল বড় একটি হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পনার অংশ।
নিকিতা দুই সপ্তাহ স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার খোঁজে মিলওয়াকি এলাকায় তার বাসায় গেলে তারা খুঁজে পায় বাবা-মার মরদেহ। এরপর পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে ওইদিনই নিকিতাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইল ফোনে পাওয়া তথ্য রীতিমতো চমকে দেয় তদন্তকারীদের। ‘অর্ডার অফ নাইন অ্যাঙ্গেলস’ নামের একটি নাৎসিবাদী দলের সদস্য হিসেবে সে কাজ করছিল। ফোনে পাওয়া যায় হিটলারের প্রশংসায় লেখা পোস্ট, ইহুদি-বিরোধী নানা মন্তব্য, এবং ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনার নানা আলামত। অভিযোগ অনুযায়ী, ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ায় ট্রাম্পকে টার্গেট করেছিল উক্ত গোষ্ঠী।
এ ঘটনায় নিকিতার বিরুদ্ধে সাতটি গুরুতর অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে আরও উঠে এসেছে, পরিকল্পনার জন্য সে রাশিয়ার কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে সহায়তা নেয় এবং ড্রোন ও বিস্ফোরক সংগ্রহের জন্য অর্থ প্রদান করে। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে। যদিও এখনও পর্যন্ত নিকিতা ক্যাসাপ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের দায় স্বীকার করেনি।
মুমু