
গাজায় আর কোনো কার্যকর পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল অবশিষ্ট নেই—সবশেষ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া উত্তরের আল আহলি আরব হাসপাতালটিও এখন ইসরায়েলি হামলায় অচল হয়ে পড়েছে। আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা, অপারেশনসহ জরুরি সেবাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল এই হাসপাতালটি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার স্বাস্থ্য অবকাঠামো ধ্বংসে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে চলা নেতানিয়াহুর বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুর অন্যতম ছিল আল আহলি হাসপাতাল।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) জাবালিয়ার শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যাতে প্রাণ হারায় অন্তত ৭ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষার নেই কোনো উপায়। কারণ উত্তরে পরীক্ষা নিরীক্ষার সব সরঞ্জাম ছিল কেবল গাজা সিটির আল আহলি আরব হাসপাতালে। যা বিধ্বস্ত ইসরায়েলি আক্রমণে।
রবিবারের ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যকর হাসপাতালটিও। ধ্বংস করা হয় মূল প্রবেশ পথ, জরুরি বিভাগ, সার্জিকাল অপারেশন ভবন এবং মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের হামলার টার্গেট হয়েছে গাজার একের পর এক হাসপাতাল। ২০২৪ সালের এপ্রিলে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা, ১৪ দিনের জন্য অবরুদ্ধ করে রাখে ইসরায়েল। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় বহু রোগীর। আল-আকসা হাসপাতালে বিমান হামলা। হাসপাতাল ছাড়ার নির্দেশ না মানায় কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালককে আটক করার ঘটনা বিশ্বজুড়ে তুলেছে নিন্দার ঝড়।
মুমু