
ছবিঃ হিন্দুস্তান টাইমস
ক্যাম্পাসে চলমান বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করায় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিকে দেয়া ২.২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান স্থগিত করেছে হোয়াইট হাউস। শুধু অনুদানই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে থাকা আরও ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো।
শুক্রবার পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডকে ‘ব্যাপক সংস্কার’ কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে রয়েছে মেধাভিত্তিক ভর্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা, ছাত্র, শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে বৈচিত্র্যবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির উপর নিরীক্ষা চালানো এবং মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করা—যা মূলত ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের দমন করতে নেওয়া পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে কোনো ছাত্র সংগঠন যদি ‘অবৈধ সহিংসতা, হয়রানি বা অপরাধমূলক কার্যকলাপকে’ সমর্থন করে, তাহলে তাদের অনুদান বা স্বীকৃতি বাতিল করতে হবে।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার সোমবার এক বিবৃতিতে এসব দাবিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রথম সংশোধনী অধিকার’-এর লঙ্ঘন এবং ‘টাইটেল VI’-এর আওতায় ফেডারেল ক্ষমতার অপব্যবহার বলে আখ্যায়িত করেছেন। উল্লেখ্য, টাইটেল VI জাতি, বর্ণ বা জাতীয় উৎপত্তির ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করে।
গারবার আরও বলেন, “কোনো সরকার—তা যে দলই হোক না কেন—বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কী পড়াবে, কাকে ভর্তি বা নিয়োগ দেবে কিংবা কোন বিষয়ে গবেষণা করবে, তা নির্ধারণ করতে পারে না।” অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়, হার্ভার্ড ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবেলায় বেশ কিছু সংস্কার চালু করেছে।
হার্ভার্ডের এই অবস্থান নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স টু কমব্যাট অ্যান্টিসেমিটিজম’ এক বিবৃতিতে বলেছে, “আজকের এই বিবৃতি আমাদের দেশের অন্যতম সম্মানজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিরাজমান এক ধরনের ‘অধিকারবাদী মনোভাব’-এরই প্রতিফলন, যেখানে মনে করা হয় ফেডারেল অর্থায়নের সঙ্গে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের কোনো দায় নেই।”
মুমু