
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের মতো এবার গাজার প্রতি সংহতি জানাতে রাস্তায় নেমে এলো পাকিস্তানের লাখো জনতা। পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে আয়োজিত এক বিশাল ‘গাজা সলিডারিটি মার্চ’-এ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তীব্র গরম উপেক্ষা করে, হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা ও হামাস নেতাদের ছবি নিয়ে করাচির রাজপথে তৈরি হয় জনসমুদ্র।
লাল, সবুজ, সাদা এবং কালো রঙের মিশেলে ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করতে দেখা যায় একদল শিক্ষার্থীকে— যাদের কাঁধে ছিল ১০০ ফুট দীর্ঘ পতাকা। সমাবেশে মুসলিমদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন খ্রিস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও। সবাই একসুরে স্লোগান তুলেছেন গাজার মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদে।
সমাবেশে অংশ নেওয়া নারী ও শিশুরা কাফনে মোড়ানো প্রতীকী রক্তাক্ত মৃতদেহের মাধ্যমে ইসরাইল বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের নির্মমতা বিশ্ব বিবেকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে গাজার পক্ষে সংহতি জানাতে আসা বহু মানুষ আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
সমাবেশ থেকে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানায় পাকিস্তানের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ওলামায়ে ইসলাম। দলটির নেতারা যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু ইউরোপীয় দেশের প্রতি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতার অভিযোগও তোলেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান গাজা-ইসরাইল সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু। ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় ফিলিস্তিন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বজুড়ে গাজার প্রতি সমর্থনের এই ঢল নতুন করে বার্তা দিচ্ছে— বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়াতে এখনও বিবেকবান মানুষ রয়েছে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/hz9_Lc9sjtA?si=-8Zej1S8Vw284eXR
এম.কে.