ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

‘মেড ইন আমেরিকা’ আইফোন: কতটা সম্ভব, কতটা ব্যয়বহুল?

সিএনবিসি

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ১৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৪:০৪, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

‘মেড ইন আমেরিকা’ আইফোন: কতটা সম্ভব, কতটা ব্যয়বহুল?

ট্রাম্পকে কারখানা ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন অ্যাপল সিইও টিম কুক, অস্টিন, ২০ নভেম্বর ২০১৯। ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির বিপরীতে, বিশ্লেষকরা মনে করেন যে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন উৎপাদন করা বর্তমান বাস্তবতায় অসম্ভব না হলেও অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে।

শুধু শ্রম খরচই বর্তমান দামের চেয়ে ২৫% বাড়াতে পারে, যেখানে একটি আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম পৌঁছাতে পারে $৩,৫০০-এ।

অ্যাপলের বেশিরভাগ পণ্য এখনো চীনে তৈরি হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন চালু করতে কয়েক বছর সময়, বিপুল অর্থ এবং দক্ষ শ্রমশক্তির অভাব বড় বাধা।

ফক্সকনের মতো চীনা নির্মাতারা কম মজুরিতে বড় আকারের উৎপাদনে পারদর্শী। উদাহরণস্বরূপ, চীনে শ্রমিকরা ঘণ্টায় ৩.৬৩ ডলার আয় করেন, যেখানে ক্যালিফোর্নিয়ায় ন্যূনতম মজুরি ১৬.৫০ ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনের আরেক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টুলিং ইঞ্জিনিয়ারদের অভাব। অ্যাপলের সিইও টিম কুক বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেই ধরনের প্রযুক্তিগত দক্ষতা পাওয়া কঠিন।

অ্যাপল অতীতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে উৎপাদন প্রসারে উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু অধিকাংশ উপাদান এখনো এশিয়া থেকে আমদানি করতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আইফোনে ব্যবহৃত অধিকাংশ যন্ত্রাংশ, যেমন প্রসেসর ও ডিসপ্লে, এখনো তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসে এবং এসবের ওপর শুল্ক আরোপ আইফোনকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে।

ফলে, পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করা সম্ভাবনার চেয়ে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।

মুমু

×