
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনিদের আর্তনাদ ও সংকটের সময় পাশে থাকেনি বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্র। তবে এবার কাতার জড়ালো নতুন বিতর্কে।
দখলদার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিল মুসলিম দেশ কাতার।
সম্প্রতি গ্রিসে আয়োজিত বার্ষিক বিমান মহড়ায় অংশ নেয় দেশ দুটির বিমানবাহিনী। পাশাপাশি উড়ে দেশ দুটির যুদ্ধবিমান। কাতারের এমন ভূমিকায় হতবাক সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
কিছুদিন আগেও ফিলিস্তিনিদের চরম দুংসময়ে পাশে না দাঁড়িয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিল কাতার। তা নিয়েও হয় ব্যাপক সমালোচনা। গ্রিসের আকাশসীমায় অনুষ্ঠিত সামরিক মহড়ার জন্য ১২২ তম স্কোয়াড্রন থেকে গালফ্ স্ট্রিমজি ৫৫০ গুপ্তচর বিমান পাঠায় ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অফ ইসরাইল।
গত ২৪ মার্চ থেকে গ্রিসের শুরু হয় এই মহড়া। তবে মহড়ায় নিজেদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে মুখ খোলে নি ইরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো যৌথ মহড়ায় অংশ নিল কাতার ও ইসরাইল। কাতার ও ইসরাইল ছাড়াও আরো ১১ টি দেশ অংশ নিয়েছিল এই মহড়ায়।
কাতারের সাথে ইসরাইলের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এই সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ইসরাইল। সেবার তাদের সঙ্গী ছিল পাকিস্তান। নিজেদের ভাবমূর্তি উন্নত করতে নেতানিয়াহুর দুই উপদেষ্টা জোনাটন উরিচ ও ফেলড স্টেইন কাতারের থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে তারা এমন সব নথি ফাঁস করেছিলেন যাতে দেশটিতে একটি অবস্থান তৈরি করতে পারে কাতার। এই ঘটনা কাতারগেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত। এর রেশ কাটতে না কাটতেই দুই দেশের এমন বন্ধুত্বপূর্ণ মহড়া নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা।
মায়মুনা