
ছবি: সংগৃহীত।
ডিমের বাজারে আগুন লেগেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বর্তমানে দেশটিতে ডজনপ্রতি ডিমের দাম পৌঁছেছে ৬ ডলার ২৩ সেন্টে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৬০ টাকা।
মার্চ মাসে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েনি, বরং দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ফলে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়ে চরম চাপ পড়েছে।
এই সংকটের অন্যতম কারণ বার্ড ফ্লুর (Avian Influenza) নতুন প্রাদুর্ভাব। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ব্যাপক হারে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় একাধিক খামারে ডিম উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। মার্কিন সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগিও বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হলে পুরো খামারের পাখি নিধন করতে হয়। যদিও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ওই নীতিমালায় কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে, তবুও মার্চ মাসেই প্রায় ৩ কোটি মুরগি নিধন করতে বাধ্য হয় খামারিরা।
আর্কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতিবিদ জাডা থমসন বলেন, “মার্চে বার্ড ফ্লুর প্রকোপ কিছুটা কমলেও ডিম উৎপাদনে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে।”
অন্যদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ডিমের বাজার এখন "সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে" রয়েছে। তিনি ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকার জন্য কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্সের প্রশংসাও করেন।
ডিমের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও হোয়াইট হাউসে ঐতিহ্যবাহী ‘এগ রোল’ উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। উৎসবটিতে অংশ নিতে খামারিরা এবারও ৩০০ ডিম ফ্রিতে সরবরাহ করবেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মার্চের শেষ দিকে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমেছে, তবে ডিম উৎপাদন স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে। এদিকে, দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে মার্কিন বিচার বিভাগের অ্যান্টি-ট্রাস্ট বিভাগ ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
নুসরাত