
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর প্রায় এক হাজার রিজার্ভ সদস্য, যাদের বেশিরভাগই অবসরপ্রাপ্ত, এক খোলা চিঠিতে গাজায় চলমান যুদ্ধ অবসানের মাধ্যমে সকল বন্দীর মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। এই চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যুদ্ধটি আর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
চিঠিতে বলা হয়, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া নয় বরং অস্ত্রবিরতির মাধ্যমেই গাজায় এখনো আটক ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। রিজার্ভ সদস্যরা সতর্ক করেছেন যে, সামরিক চাপ বাড়ালে বন্দীদের মৃত্যু এবং সৈনিকদের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।
চিঠিতে স্বাক্ষর করা সক্রিয় রিজার্ভ সদস্যদের মধ্যে কয়েক ডজনকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর প্রধান।
এই চিঠি ইসরায়েলের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং তা বিরোধীদলগুলোর সমর্থনও পেয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট এবং বন্দীদের মুক্তির মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত।
এমন একটি সময়ে যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সদস্যদের যুদ্ধবিরোধী অবস্থান বিরল, তখন এই বিপুল সংখ্যক চিঠি একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০০৩ সালে মাত্র ২৭ জন পাইলট একটি প্রতিবাদপত্র দিয়েছিলেন, যেখানে তারা জনবহুল এলাকায় লক্ষ্যবস্তুতে হামলার নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু মানবিক ক্ষতি নয়, বরং যুদ্ধের রাজনৈতিক পটভূমি।
ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে এই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় রিজার্ভ সদস্যদের বরখাস্তের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এবং বলা হয়েছে- যুদ্ধকালীন সময়ে সেনাবাহিনীতে রাজনীতি অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সূত্র: আল-জাজিরা
মেহেদী হাসান