
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের সাথে আলোচনার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আলোচনা সফল না হলে, হতে পারে ভয়াবহ হামলা। তবে সরাসরি আলোচনায় যেতে নারাজ ইরান।
ট্রাম্পের চাওয়া, ইরান যেন পরমাণু কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি সরে যায়। কিন্তু তেহরান আবার এই চুক্তিতে রাজি নয়। কৌশলগত কারণেই ইরান পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চায়।
এসব জটিলতার মাঝেই সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে পেন্টাগন। নতুন রণতরী পৌঁছেছে পশ্চিম এশিয়ায়। উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন পৌঁছানোর খবর দিয়েছে মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্ডকম। সেন্ডকম দাবি করেছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য এই রণতরী পাঠানো হয়েছে। গত বছর থেকে সেই অঞ্চলে রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান মোতায়েন রয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের ঘোষণা এ ব্যাপারে সংশয়ের সৃষ্টি করেছে। তিনি ঘোষণা করেছেন, ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি ব্যর্থ হলে সামরিক হামলা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকদের মতে, পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতেই ট্রাম্পের এই কৌশল।
গত ১৫ মার্চ থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তাদের দমাতে এফএম -৩৫ স্টেল যুদ্ধবিমান ও ইউএসএস কার্ল ভিনসনকে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে নিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল কি না তা নিয়ে সন্দিহান প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
এই ঘটনায় পশ্চিম এশিয়াতে উত্তেজনা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলে পরমাণু বৈঠক সফল না হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।
মায়মুনা