
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর এক শ্বাসরুদ্ধকর বৈঠকের মাধ্যমে পরমাণু আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে এই সিদ্ধান্ত আসে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় ধরনের মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, খামেনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, বিচার বিভাগের প্রধান এবং পার্লামেন্ট স্পিকার। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে বিস্তর মতবিনিময় হয়।
ইরানের অর্থনৈতিক সংকট, ডলারের বিপরীতে রিয়ালের দরপতন, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির অভাব এবং সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কা- এই চাপের মুখে খামেনি অবশেষে আলোচনায় সম্মতি দেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুরুতে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা হবে এবং পরে পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরাসরি বৈঠকে বসার পথ খুলে যাবে।
গত ২৮ মার্চ ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিনিধিদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও তেহরান প্রকাশ্যে এখনও বলছে তারা সরাসরি আলোচনায় আগ্রহী নয়, তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই অবস্থান একটি কৌশলগত ‘বড় ছাড়’।
২০১৫ সালের চুক্তি নিয়ে আলোচনাকারী এবং বর্তমান প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ফেলো হোসেইন মোসাফিয়ান বলছেন, “খামেনির এই সিদ্ধান্ত তার দীর্ঘদিনের মূল নীতির- প্রতিফলন শাসন ব্যবস্থা রক্ষা করাই প্রধান লক্ষ্য।”
এই আলোচনার ভবিষ্যত সাফল্য নির্ভর করছে উভয়পক্ষের নমনীয়তা ও কূটনৈতিক কৌশলের ওপর।
মেহেদী হাসান