
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তা এবং দুর্বল প্রতিক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে ইসরাইল দ্রুত পরাশক্তিতে পরিণত হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে লেভান্ট অঞ্চল পুরোপুরি ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে।
আরব বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘আরব সেন্টার ফর রিচার্স এ্যান্ড পলিসি স্টাডিস’ (এসিআরপিএস) এর পরিচালক আজমি বিসারা আল-জাজিরা নেটওয়ার্কের "আল-আরাবি" টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আরব দেশগুলোর দুর্বল এবং সিদ্ধান্তহীন অবস্থানের ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই অঞ্চলটির রাজনৈতিক কাঠামো আমূল বদলে যেতে পারে।”
তিনি জানান, লেভান্ট অঞ্চল বলতে সাধারণত ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও লেবানন বোঝানো হয়, যেখানে ইসরাইল এখন দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ ও সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। সিরিয়া এবং লেবাননে ইসরাইলের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ তাদের প্রভাব বিস্তার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সিরিয়া বিভাজনের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিসারা আরো বলেন, “ইসরাইল ফিলিস্তিনের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। ফিলিস্তিনিদের স্থানচ্যুত করা সহজ নয়, বিশেষ করে মিশর যদি বিরোধিতা করে। তবে আরবদের দুর্বল প্রতিক্রিয়া থাকলে গাজাবাসীদের উচ্ছেদ করে ইসরাইল পুরো উপত্যকা দখল করে নেবে।”
তার মতে, আরব দেশগুলোর এখন উচিত তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে যৌথ নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা, যাতে ইসরাইলের আগ্রাসন ঠেকানো যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত "নিরাপত্তার নামে চাঁদাবাজি" বন্ধ করা যায়।
আজমি বিসারা আরব দেশগুলোর পারস্পরিক প্রতিযোগিতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয় পাত্র হওয়ার প্রবণতার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “এসব মানসিকতা আরব ঐক্যকে ভেঙে দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।”
তার আহ্বান, আরব দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে এবং বাইরের চাপ মোকাবিলা করে নিজেদের অধিকার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
মেহেদী হাসান