
ছবিঃ সংগৃহীত
অবিরাম হত্যাযজ্ঞে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে গাজার বেশ কয়েকটি শহর। সুজাইয়া আবাসিক এলাকায় ভবনগুলোতে একাধিক ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক হতাহত হয়ে ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়েছেন অনেকে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের পালাদা শরণার্থী শিবির এবং নিকটবর্তী নাবলুসে নতুন করে বড় ধরণের অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তেল আবিবের হামলা একটি প্রত্যক্ষ গণহত্যা।
এদিকে ছয় সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ গাজায় শেষ খাবারটুকুও ফুরিয়ে যাচ্ছে। মার্চের শুরু থেকেই গাজায় ঢোকার চেক পয়েন্টগুলো বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। ফলে ঢুকতে পারছে না ত্রাণবাহী ট্রাক। শীঘ্রই এই চেক পয়েন্টগুলো খোলা না হলে ক্ষুদায় নিশ্চিতভাবেই মৃত্যু হবে বেশিরভাগ গাজাবাসীর।
২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য বছরের শুরুতে যে পরিমাণ খাবার মজুদ করা হয়েছিল তা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। জরুরি খাবার বিতরণ থেমে যাচ্ছে। বেকারিগুলো বন্ধ। বাজারগুলো খালি। গাজাবাসী বলছেন, বেঁচে থাকা মানুষ দিন রাত বোমাবর্ষণ সহ্য করছে। কিন্তু ক্ষুদার জ্বালা সহ্য করতে পারবো না। মুসাইরাজ শরণার্থী শিবিরে শত শত ফিলিস্তিনি একটি খোলা জায়গায় অপেক্ষা করছেন একটু খাবারের জন্য। গাজায় জরুরি খাবার বিতরণ যেসব ত্রাণ সংস্থা চালাচ্ছে তারা বলছেন যদি নতুন করে খাবার ঢুকতে না পারে তাহলে আর কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের এই খাবার বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী আগে গাজার ২৫ টি বেকারিতে রুটি সরবরাহ করতো। এখন সবগুলো বেকারি বন্ধ। অল্প পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী বিতরণও বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে সব ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র শেষ। এক মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গাজা অবরোধ করায় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেছে। এর মানে শিশুরা, নব জাতকেরা না খেয়ে ঘুমুতে যাচ্ছে। প্রতিদিন খাদ্য সামগ্রী ছাড়া গাজা গভীর দুর্ভিক্ষের দিকে আরও এক ধাপ এগোচ্ছে। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে গাজা শাসনকারী হামাস যোদ্ধাদের হাতে যাতে ত্রাণ না পৌঁছে সেজন্যই তারা সব সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। হামাস তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং ক্ষুদাকে ইসরায়েলের যুদ্ধ কৌশল হিসেবে অভিযোগ করেছে দলটি।
মুমু