
ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক—নামটি যেন প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও আলোচনার সমার্থক। টেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিঙ্ক, এক্স (পূর্বতন টুইটার)– একের পর এক বৈপ্লবিক কোম্পানির হাল ধরেছেন তিনি। কিন্তু এই প্রযুক্তিবিদের প্রকৃত নাগরিকত্ব কি শুধুই আমেরিকান? অনেকেই ধরে নেন যে, মার্কিন মাটিতেই জন্ম ইলনের, তবে বাস্তবতা একটু ভিন্ন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইলন মাস্কের প্রকৃত জাতীয়তা ও নাগরিকত্বের ইতিহাস।
জন্ম দক্ষিণ আফিকায়
ইলন রিভ মাস্ক জন্মগ্রহণ করেন ২৮ জুন, ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়া শহরে। তাঁর বাবা এরল মাস্ক একজন দক্ষিণ আফ্রিকান এবং মা মায়ে মাস্ক জন্মসূত্রে কানাডিয়ান। অর্থাৎ, ইলনের জন্ম থেকেই দুটি নাগরিকত্বের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল—দক্ষিণ আফ্রিকা ও কানাডা।
কানাডিয়ান নাগরিকত্ব
কিশোর বয়সে ইলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কানাডায় চলে আসেন। তাঁর মা মায়ে মাস্কের কানাডিয়ান বংশের সূত্র ধরে ১৯৮৯ সালে তিনি কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর উত্তর আমেরিকার যাত্রা।
পরবর্তীতে আমেরিকান নাগরিকত্ব লাভ
ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান এবং পরবর্তীতে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি ২০০২ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। সেই থেকে তিনি ট্রিপল সিটিজেন—দক্ষিণ আফ্রিকা, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
বর্তমানে কোন দেশের নাগরিক?
বর্তমানে ইলন মাস্ক তিনটি দেশের নাগরিকত্ব বহন করছেন:
- দক্ষিণ আফ্রিকা
- কানাডা
- যুক্তরাষ্ট্র
তবে কর্ম ও বসবাসের দিক থেকে তিনি মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক। এখানেই তাঁর ব্যবসার মূল কেন্দ্র, গবেষণা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
তাই উত্তরটা একরৈখিক নয়—ইলন মাস্ক শুধুমাত্র আমেরিকান নন। তিনি বহুজাতিক পরিচয়ের ধারক। তাঁর জীবনযাত্রা, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার প্রমাণ করে যে, সফলতার জন্য শুধুমাত্র একটি দেশের নাগরিকত্ব নয়, বরং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিই মুখ্য।
নুসরাত